প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রার পরে সেই সন্ধ্যাতেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের শববাহী গাড়ি আটকে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরা। শিয়ালদহের বিশেষ আদালতে যে দিন আর জি কর-কাণ্ডে সিভিক ভলান্টিরায় সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হচ্ছে, সে দিনই ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে বুদ্ধদেবের স্মরণ-সভার মঞ্চ থেকে মীনাক্ষী জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের যে কোনও জায়গায় ‘অবিচারের গাড়ি’ তাঁরা বারবার আটকে দিলেন। আর বাংলার মেধার জন্য বাংলাতেই কাজের সুযোগ তৈরির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণে রাখার কথা বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বুদ্ধদেব ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের প্রথম সম্পাদক। সিপিএমের সেই যুব ফ্রন্টের উদ্যোগে সোমবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে বুদ্ধ-স্মরণে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃত্ব। ছি্লেন বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্য, যুব সংগঠনে বুদ্ধদেবের সতীর্থ, প্রয়াত দীনেশ মজুমদারের কন্যা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জীবন ও কাজের উপরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে অনুষ্ঠানে। ওই সভায় সেলিম বলেছেন, ‘‘বুদ্ধদা চেয়েছিলেন রাজ্যের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান। যুবদের মেধা, ক্ষমতা আরও পরিমার্জিত করে প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে গড়ে তুলতে। চেয়েছিলেন এখানকার মেধা বেঙ্গালুরুতে যেতে বাধ্য হবে না। বাংলার মেধা বাংলায় যাতে কাজ করতে পারে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রতিদিন সত্যকে চাপা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান তো বটেই, অনাগত ভবিষ্যতেরও সব উন্নতির পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে। তার জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রোজগার, শ্রমিক, কৃষকের উপরে হামলা হচ্ছে। দক্ষিণপন্থার উত্থান মানে আমাদের যা কিছু গড়ে তোলা হয়েছিল, তাকে ধ্বংস করা। তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’’
অগস্টের ঘটনা টেনে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষীর বক্তব্য, ‘‘আর জি করের মতোই সব জায়গায় না-ইনসাফির গাড়ি আটকে দেবে বুদ্ধদেবের উত্তরসূরিরা! এটাই আমাদের শপথ। পশ্চিমবঙ্গে বিকল্প বামপন্থাই, আরএসএস বা দক্ষিণপন্থা নয়।’’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করেছেন হান্নান মোল্লা, রবীন দেব, আভাস রায়চৌধুরীরাও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)