Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা চাইলে উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে এক মঞ্চে বসতে রাজি, বললেন শুভেন্দু

মঙ্গলবারই শান্তিপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, উন্নয়নের নিরিখে কেন্দ্র সরকারের তুলনায় বেশ কয়েক কদম এগিয়ে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৩০
Share: Save:

শান্তিপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার প্রেক্ষিতে পাল্টা চ্যালেঞ্জও ছুড়ে তিনি বললেন, উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে মমতার সঙ্গে এক মঞ্চে বসতেও রাজি তিনি।
মঙ্গলবারই শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, উন্নয়নের নিরিখে কেন্দ্র সরকারের তুলনায় বেশ কয়েক কদম এগিয়ে রাজ্য সরকার। এ কথা তথ্য এবং পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমাণ করতে না পারলে তিনি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখবেন না বলেও চ্যালেঞ্জ ছু়ডেছিলেন তিনি। বুধবারই পাল্টা জবাবে শুভেন্দু বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে রাজি আছি আমি।’’

বুধবারই নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ছিল শান্তিপুরে। এ দিন দুপুরে ওই কেন্দ্রের এক নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লীর মাঠে আয়োজিত দলীয় জনসভায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। ওই জনসভা থেকে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে শিল্প নেই, চাকরি নেই। বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। এখন কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যের বাইরে যাচ্ছে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ব্যস্ত পিসি-ভাইপো। এই অর্থ আসছে কোথা থেকে? সবই তো সাধারণ মানুষের পরিশ্রমের টাকা।’’

ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘শুধু শুভেন্দুকে হারাব আর ভবানীপুর থেকে পালাবো, এই কারণেই নন্দীগ্রামেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁদের ভূমিপুত্রকে ছাড়েননি। তাঁরা আমাকে বঞ্চিত করেননি। তাঁরা আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাজার ৯৫৬ ভোটে হারিয়েছেন। তাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে ভবানীপুরে আবার ভোট করতে হয়েছে ওঁকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE