Advertisement
E-Paper

বহু স্কুলেই পৌঁছয়নি বই, সঙ্কটে পড়ুয়ারা

মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের ঘাটতিতে বেশ কিছু দিন জেরবার হতে হয়েছে পড়ুয়াদের। এ বার অমিলের তালিকায় স্কুল স্তরের বেশ কিছু পাঠ্যবই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৩

মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারের ঘাটতিতে বেশ কিছু দিন জেরবার হতে হয়েছে পড়ুয়াদের। এ বার অমিলের তালিকায় স্কুল স্তরের বেশ কিছু পাঠ্যবই।

গত ২ জানুয়ারি, পুস্তক দিবসে ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের অনেক স্কুলেই পাঠ্যবই পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। একাধিক জেলার স্কুল পরিদর্শক অফিস সূত্রের খবর, এ দিন পর্যন্ত ছাপাখানা থেকে বহু বই এসেই পৌঁছয়নি। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, সব স্কুলেই বই চলে গিয়েছে।

স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগেই প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এ বার শুধু পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, বীরভূমের মতো দূরের জেলার অনেক স্কুল বই পায়নি। কলকাতা, হাওড়ারও বহু স্কুলে বই মেলেনি বলে অভিযোগ। বই পৌঁছয়নি যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, হিন্দু স্কুল, নারকেলডাঙা হাইস্কুল, টাকি হাইস্কুল-সহ অনেক স্কুলে। প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, টান পড়েছে মূলত ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির বইগুলিতে। হাওড়ার কিছু স্কুলে নবম-দশম শ্রেণির অঙ্ক বই পৌঁছয়নি। ভূগোল, বাংলার বইও রয়েছে অমিলের তালিকায়।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির বেশ কয়েকটি বই পাওয়া যায়নি। দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি। অসুবিধে তো হচ্ছেই।’’ সমস্যার কথা স্বীকার করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে চাহিদার তুলনায় বই সরবরাহ সত্যিই কিছুটা কম।’’ বিভিন্ন স্কুলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বই না-পাওয়ার কোনও রিপোর্ট আমার কাছে নেই। সব স্কুলেই বই পৌঁছে গিয়েছে।’’

Scarcity of Books Stuent Problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy