Advertisement
E-Paper

স্কুলশিক্ষকদের সঙ্গে কথা সচিবের

জেলায় জেলায় কোন স্কুলের কী অবস্থা, তা দেখার জন্য ডিআই-দের পাশাপাশি স্কুলশিক্ষা সচিবকেও পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৬
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

জেলায় জেলায় কোন স্কুলের কী অবস্থা, তা দেখার জন্য ডিআই-দের পাশাপাশি স্কুলশিক্ষা সচিবকেও পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরেই কলকাতার বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীর ঘাটতি-সহ বিভিন্ন সমস্যা বুঝতে নজিরবিহীন ভাবে তৃণমূল স্তরের কর্মী ও শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসলেন স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকাশ ভবনের ওই বৈঠকে সচিব জানান, স্কুলের উন্নয়নে পড়ানোর ভাষামাধ্যম কোনও বাধা নয়। স্কুলে পঠনপাঠনের পরিবেশ থাকলেই পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়বে। বৈঠকে জানানো হয়, কলকাতার স্কুলগুলিতে এখন শিক্ষক-ঘাটতি নেই। বরঞ্চ কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি শিক্ষক আছেন।

ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলের গোলমালের পরে স্কুল পরিদর্শন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের অন্য কর্তারা। শিক্ষাসচিব, যুগ্মসচিব পদমর্যাদার অফিসারদের পরিদর্শনে জোর দিতে বলেন মন্ত্রী। দফতরের কর্তারা জানান, সচিব এ দিন স্কুলশিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষক ও অফিসারদের সঙ্গে যে-ভাবে সরাসরি আলোচনা করলেন, তা নজিরবিহীন। বৈঠকে কলকাতার কিছু সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত বাংলা, উর্দু ও হিন্দি মাধ্যমের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন পড়ুয়াহীন প্রতিনিধিরাও। কী কারণে ওই সব স্কুল পড়ুয়া-শূন্য, তা জানতে চান সচিব। বৈঠকে ছিলেন মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক, কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষাবন্ধু, কলকাতা জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তা, স্কুল ইনস্পেক্টরেরা। ছাত্র-সংখ্যা ছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সচিবের বৈঠকে।

বৈঠকে উপস্থিত এক স্কুল-প্রতিনিধি পরে জানান, সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুলে পড়ুয়াদের আকর্ষণ করার মতো পরিবেশ গড়তে হবে। কোথায় বাড়তি পড়ুয়া রয়েছে এবং কেন সেখানে পড়তে ছাত্রছাত্রীরা এত আগ্রহী, অনুসন্ধান চালিয়ে তা জেনে নিয়ে সেটাকে মডেল বা আদর্শ করা যেতে পারে। স্কুলগুলিকে ভাল ভাবে চালানোর ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, তারও খোঁজখবর নেন সচিব। সেখানেই দফতরের এক কর্তা জানান, এই মুহূর্তে শহরের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। নজর দিতে হবে পরিকাঠামোয়। পঠনপাঠনের মান উন্নয়ন করতে হবে।

এক স্কুল-প্রতিনিধি বলেন, ‘‘এত দিন যা হয়েছে, সবটাই রিপোর্টে। সচিবের সঙ্গে মুখোমুখি বসে এমন আলোচনা কোনও দিন হয়নি। এর ফলে স্কুলশিক্ষার সর্বোচ্চ কর্তাকে অনেক না-বলা কথাও বলা গিয়েছে।’’ কলকাতার পরে এ বার ধাপে ধাপে অন্যান্য জেলার স্কুল নিয়েও এই ধরনের আলোচনা হবে বলে স্কুলশিক্ষা দফতরের খবর।

School স্কুল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy