Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Sehgal Hossain

সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে ইডি, আগেভাগেই ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের

উচ্চ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর ইডি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে, সে কারণেই আগেভাগে শীর্ষ আদালতে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করলেন সহগলের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ।

সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল সহগলের।

সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল সহগলের। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২ ১৬:০১
Share: Save:

গরু পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেন। মঙ্গলবারই সহগলকে হেফাজতে নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ হয় কলকাতা হাই কোর্টে। উচ্চ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর ইডি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে, সে কারণেই আগেভাগে শীর্ষ আদালতে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করলেন সহগলের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ।

গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সহগলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সে কারণে, সম্প্রতি আসানসোল জেলে গিয়ে সহগলকে গ্রেফতার করে তারা। কিন্তু আসানসোল আদালতে প্রথম ধাক্কার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সংশোধনাগারে ইডি যে ভাবে সহগলকে গ্রেফতার করেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আসানসোল আদালতের বিচারক। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ইডির কোনও মামলা আসানসোল আদালতে নেই। তা হলে কিসের ভিত্তিতে ইডি সহগলকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে? বলা হয়েছিল, দিল্লির আদালত থেকে উপযুক্ত নথি এনে ইডিকে তা আদালতে জমা দিতে হবে। আদালত সন্তুষ্ট হলে তবেই সহগলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ মঞ্জুর করা হবে।

আসানসোল আদালতের পর ইডি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এ বিষয়ে জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করলেও মঙ্গলবার মামলাটি শোনেন বিচারপতি। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, ইডি সহগলকে হেফাজতে নিতে চাইলে তাদের তরফে কোনও আপত্তি নেই। সগহলের আইনজীবী সওয়াল করেন, যে মামলার প্রেক্ষিতে তাঁর মক্কেলকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে ইডি ,তা এই রাজ্যের। তা হলে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সগহলকে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা কী?

ইডি আদালতকে জানিয়েছিল, মূল মামলা দিল্লি থেকে হয়েছে। কলকাতায় তদন্তকারী সংস্থাটির শাখা দফতর। এখানে ‘ইসিআইআর’ দায়ের করা হয়েছে। যে হেতু মূল মামলা দিল্লির এবং আধিকারিকেরা দিল্লি থেকেই আসছেন তদন্ত করতে, তাই সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে হেফাজতে নেওয়া দরকার। এ কথা শুনে হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা আমেরিকার হতে পারে। কিন্তু আপনি তো এখানে মামলা নথিভুক্ত করেছেন, তা হলে কলকাতার পিএমএলএ কোর্টে হাজির না করিয়ে দিল্লি নিয়ে যেতে চান কেন?’’

উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি ইডির আবেদন খারিজ করে দেন। আসানসোল আদালতের পর হাই কোর্টেও ধাক্কা খাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আগেভাগেই শীর্ষ আদালতে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে রাখলেন সহগল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sehgal Hossain ED Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE