Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Sandeshkhali Incident

‘সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভাল হবে’, সন্দেশখালির মামলায় হাই কোর্টের রায় প্রসঙ্গে বললেন শাহজাহান

তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বিভিন্ন মামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) যে তদন্ত চালাচ্ছে তাতেও ‘ভাল হবে’ বলে মন্তব্য করেন ধৃত শাহজাহান শেখ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০০
Share: Save:

সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই এবং ইডির তদন্তে ভাল ফল মিলবে বলেই মত ধৃত শাহজাহান শেখের। বৃহস্পতিবার ইডির দফতর থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় এ কথা বলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা।

কলকাতা হাই কোর্ট বুধবার সন্দেশখালির মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির অভিযোগগুলির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার ‘সন্দেশখালির বাঘ’ বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভাল হবে।’’ আর তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বিভিন্ন মামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) যে তদন্ত চালাচ্ছে? শাহজাহানের জবাব, ‘‘সবটাই ভাল হবে।’’

গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হয়েছিল। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শাহজাহান। ৫৫ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পরে শেষ পর্যন্ত মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বিভিন্ন মামলায় সেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ইডি।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একত্রে সেই মামলাগুলি শুনছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের রায় ঘোষণা করা হয়। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। পাশাপাশি, সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে রাস্তায় সিসি ক্যামেরা, এলইডি আলো বসাতে বলেছে আদালত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে তার খরচ দিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE