E-Paper

সাত বছরের মামলায় প্রাপ্য আদায় শিক্ষামিত্রের

কৃষ্ণেন্দু ২০০৪ সালে শিক্ষামিত্র হিসেবে সর্বশিক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছিলেন। মূলত স্কুলের বাইরে থাকা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন শিক্ষামিত্রেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:২২
representative image of gravel

সমস্ত ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন শিক্ষামিত্র কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। প্রতীকী ছবি।

পার্শ্ব শিক্ষক এবং অন্যদের মতোই সর্বশিক্ষা মিশনে কাজ করেছিলেন শিক্ষামিত্র হিসেবে নিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু একই ধরনের বেতনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি তাঁকে। কৃষ্ণেন্দুকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিও করতে দেয়নি রাজ্যের শিক্ষা দফতর। উল্টে শিক্ষামিত্র থেকে তাঁকে এডুকেশন ভলান্টিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে সমস্ত ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত বুধবার রায় দিয়েছেন, কৃষ্ণেন্দুকে অবিলম্বে শিক্ষামিত্র হিসেবে চাকরি করতে দিতে হবে। তাঁর বেতন এবং চাকরির মেয়াদ হবে সর্বশিক্ষা মিশন সংক্রান্ত ২০১০ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী। ২০১০ সাল থেকে এ-পর্যন্ত তাঁর যা প্রাপ্য বকেয়া পড়ে গিয়েছে, তা দিতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে।

কৃষ্ণেন্দু ২০০৪ সালে শিক্ষামিত্র হিসেবে সর্বশিক্ষা মিশনে যোগ দিয়েছিলেন। মূলত স্কুলের বাইরে থাকা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন শিক্ষামিত্রেরা। রাজ্য সরকার ২০১০ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত পার্শ্ব শিক্ষক এবং অন্য কর্মীদের বেতন, ইনক্রিমেন্ট এবং ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ঘোষণা করলেও শিক্ষামিত্রেরা তা পাননি। উপরন্তু, ২০১৩ সালে কৃষ্ণেন্দুকে শিক্ষামিত্রের পদ থেকে এডুকেশন ভলান্টিয়ার করে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক ভাবে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করা হলেও সেই সময়ের পরেও নদিয়ার একটি স্কুলে চাকরি করেছেন কৃষ্ণেন্দু। ন্যায্য পাওনা আদায়ে ২০১৬ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। ২০২১ সালে হাই কোর্ট জানায়, এ ব্যাপারে রাজ্যের সর্বশিক্ষা মিশনের অধিকর্তাকে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কিন্তু সেই অধিকর্তা ২০২২ সালে কৃষ্ণেন্দুর আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের মামলা করেন কৃষ্ণেন্দু। সেই মামলাতেই এ দিন রায় দিয়েছেন বিচারপতি সামন্ত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Calcutta High Court Teacher

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy