মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় স্পিকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। খুশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের পর উল্লসিত বিজেপি। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মুকুলের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে বলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরেই টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ‘ন্যায়ের জয় হল। ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ মুকুল রায়ের দলত্যাগের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য মাননীয় স্পিকারকেও ছেড়ে দেয়নি। ২০১১ সালের পর প্রথমবার যখন পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ সংক্রান্ত আবেদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মুকুল–সহ এখনও পর্যন্ত পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিরোধী দল স্পিকারের কাছে তাঁদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন। এ বার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর সেই বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়েও পদক্ষেপ করা যাবে বলেই মনে করছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০১১ সাল থেকে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস থেকে ৫০ জনের বেশি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু একাধিকবার শুনানি হলেও, তাদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর আমরা সুবিচার পাব।’’ প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও আব্দুল মান্নানও একাধিক বিধায়কের দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও বিধায়কদের দলত্যাগ নিয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই পথেই মুকুলের দলত্যাগের পর স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দুও। তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে বিষয়টি নিয়ে স্পিকার সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানেই স্পিকারকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। স্পিকার বলেছেন, ‘‘আইন প্রক্রিয়াকে আমরা সব সময়ই সম্মান করে এসেছি। বিধায়কপদ খারিজের যে বিষয়টি রয়েছে, তা আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy