শুভেন্দু অধিকারী এবং বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী শুক্রবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুনানি হবে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার। সেই শুনানিতে আসতে বলা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বুধবার পাল্টা চিঠি দিয়ে সাসপেন্ডেড বিরোধী দলনেতা জানতে চাইলেন, কোন পথে তিনি স্পিকারের ঘরে যাবেন। ইমেল মারফত বিরোধী দলনেতার দফতর চিঠিটি পাঠিয়েছে স্পিকারের দফতরে। সেই চিঠিতে বিধানসভার সচিবের একটি চিঠির কথা উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। গত ৩১ মার্চ চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, ওই চিঠিতে বিধানসভায় তাঁর যাতায়াতের পথ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। তাই স্পিকারের কাছে শুভেন্দু জানতে চেয়েছেন, কোন পথ দিয়ে তিনি স্পিকারের ঘরে শুনানিতে অংশ নিতে আসবেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেই অধিবেশন কক্ষে বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় স্পিকার সাসপেন্ড করেন বিরোধী দলনেতা-সহ পাঁচজন বিধায়ককে। অধিবেশনে আগেই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় সাসপেন্ড ছিলেন। ৩১ মার্চ বিধানসভার সচিব চিঠি লিখে বিজেপির সাতজন সাসপেন্ড বিধায়ককে জানিয়ে দেন সাসপেন্ড থাকার সময় বিধানসভায় তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন না সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ততদিন তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। তবে বিধানসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্পিকার কখনও গোটা বিধানসভায় তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেননি। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র অধিবেশন কক্ষ এবং কক্ষ লাগোয়া অংশে সাসপেন্ডেড বিজেপি বিধায়করা যেতে পারবেন না। তাই বিরোধী দলনেতা যে প্রশ্ন তুলে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন, তা অমূলক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy