মিলল খুলি-হাড়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
মাটি খুঁড়ে দু’জনের দেহাবশেষ উদ্ধার হল লালগড়ের ভুলাগাড়া জঙ্গলে। শুক্রবার বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে লালগড় থানার পুলিশ ও কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স অভিযান চালায়। পুলিশের ধারণা, উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ ২০০৯-এর ৩০ জুলাই মাওবাদী পর্বে লালগড় থেকে নিরুদ্দিষ্ট রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের দুই কনস্টেবল সাবির আলি মোল্লা ও কাঞ্চন গড়াইয়ের। তবে সাবির ও কাঞ্চনের পরিজনেরা দেহাবশেষ শনাক্ত করতে পারেননি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘এ বার ডিএনএ পরীক্ষা হবে।’’
এ দিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান সাহা, ডিএসপি (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও লালগড়ের আইসি জ্ঞানদেওপ্রসাদ শাহের তত্ত্বাবধানে জঙ্গলের নির্দিষ্ট জায়গায় মাটি খোঁড়া হয়। ছিলেন লালগড়ের বিডিও অভিজিৎ সামন্তও। বর্ধমানে মেমারির তেলসাড়া থেকে সেখানে আসেন সাবিরের মেজদা সামাদ মোল্লা, ভাইপো শেখ সব্যসাচী মোল্লা। বাঁকুড়ার ছাতনার সুয়ারাবাকড়া থেকে কাঞ্চনের বাবা বাসুদেব ও দাদা চিত্তরঞ্জন গড়াইও এসে পৌঁছন। বিকেল তিনটে নাগাদ মাটির সাড়ে চার ফুট গভীরে একটি গর্তের মধ্যে দু’জনের দেহাবশেষ মেলে। হাড়গোড় ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছিল। সাবিরের দাদা সামাদ বলেন, “ওটা যে ভাইয়ের হাড়গোড় তা দেখে বুঝতে পারিনি। তবে পুলিশ সন্দেহ করছে।’’ কাঞ্চনের বাবা বাসুদেববাবুরও বক্তব্য, “কঙ্কালের যা অবস্থা তাতে শনাক্ত করা অসম্ভব। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।” কয়েক বছর আগে ঢ্যাংবহড়ার জঙ্গলে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হওয়ার পরে সেগুলি সাবির-কাঞ্চনের বলে অনুমান করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy