ক্যালেন্ডার বলছে, মাঘ মাসের শেষলগ্ন উপস্থিত। অর্থাৎ,আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিতে চলেছে শীতকাল। শীতের আমেজ অবশ্য আগেই উধাও হয়েছে রাজ্য থেকে। জেলায় জেলায় শীতের আমেজ থাকলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা মেলেনি। মাঘ মাসের শুরু থেকেই পারদ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে উপরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিনে তাপমাত্রা আবার কিছুটা কমতে পারে। তবে পারদপতন সামান্যই। তাতে জাঁকিয়ে শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.১ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার শহরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৯.১ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’দিনে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে। তার পরের দু’দিনে আবার দু’ডিগ্রি চড়বে পারদ।
আরও পড়ুন:
দার্জিলিঙে বৃহস্পতিবার তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি এবং বরফ পড়তে পারে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর ফলে সকালের দিকে জেলাগুলিতে দৃশ্যমানতা কমতে পারে ১৯৯ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত। আপাতত উত্তরের বাকি জেলায় শুকনো আবহাওয়া থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে চারটি জেলায়— উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া। এ ছাড়াও বাকি জেলাগুলিতে কমবেশি কুয়াশা থাকবে। এর ফলে সকালের দিকে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। এ বিষয়ে বাড়তি সতর্ক হতে বলা হয়েছে। দক্ষিণের কোথাও আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আলিপুরের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। সেই কারণেই এত কুয়াশা। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দু’দিন পরে আবার তা বেড়ে যাবে।