—নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি। যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। এক জন গোসালা মোড়ের বাসিন্দা। আর এক জন সেন পাড়া। বাকি দু’জন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বাসিন্দা।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান ও ধূপগুড়ি। অনেকেই আহত। ঘরদোর লন্ডভন্ড হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু।
উত্তরবঙ্গে আগামী দু’-তিন দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই মতো উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় রবিবার বৃষ্টি হয়। বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছু ক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ে।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ায় আজ বিকেলে জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসে। মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ, ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy