তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীর বাড়ি থেকেই এক দল বহিরাগতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বামফ্রন্টের কর্মীরা। অভিযোগ করলেন, ভোটে সন্ত্রাস করতেই বহিরাগতদের জড়ো করেছে শাসক তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।
শুক্রবার বাঁকুড়ার যে পুর-শহরে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই সোনামুখীর তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা নিজেও গত লোকসভা নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর ও ছাপ্পা ভোট দেওয়ায় অভিযুক্ত। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলাও হয়। যদিও পুলিশ তাঁকে ধরার সাহস দেখায়নি! আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বিধায়ক। দীপালিদেবী এ বার পুরভোটেও প্রার্থী। ভোটের ঠিক মুখে তাঁর অনুগামীর বাড়ি থেকে বহিরাগতরা আটক হওয়ার পরে তিনি অবশ্য বলছেন, আটক ব্যক্তিরা বিয়ের অতিথি!
কলকাতার পুরভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে বহিরাগত আমদানি করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। জেলায় পুরভোটের আগে কলকাতার কথা মাথায় রেখে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা ক’দিন ধরেই দিচ্ছেন বিরোধী (বিশেষ করে বাম) নেতৃত্ব। সোনামুখীর সিপিএম নেতাদের দাবি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রুদ্রপাড়ার একটি বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাইরের লোক আসতে শুরু করে। শুক্রবার সকালেও জনা ১৫ লোক সেখানে আসে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্র বলেন, “বিভিন্ন সূত্রে জানলাম, ওরা তৃণমূলের হয়ে ভোট করতে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনকে জানাই। দলীয় কর্মীদের বলি বাড়ি ঘিরে রাখতে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, শতাধিক বাম কর্মী দুপুরে ওই বাড়ির সামনের রাস্তা আটকে রাখেন। পুলিশ এসে বাড়ির দোতলা থেকে বহিরাগতদের বের করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ি থেকে ৩৭ জনকে ধরা হয়েছে। ভোটে ঝামেলা পাকাতেই তারা জড়ো হয়েছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
তমলুক পুরসভায় আবার ‘বহিরাগত’ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী দীপু মাইতি ও তাঁর অনুগামীরা তৃণমূল কর্মীদের একটি গাড়ি আটকান। দীপুবাবুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল বহিরাগতদের এনে বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছিল। বাসিন্দারা তাদের আটকায়।’’ পুলিশ গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তরুণ রায়ের অভিযোগ, গোঘাট, খানাকুল ও কেশপুর থেকে বহিরাগতদের এনেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy