Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কংসাবতীর তীরে নয়া আকর্ষণ ‘সূর্যাস্ত’

রাঙামাটির এক পাশেই গড়ে উঠেছে ‘সূর্যাস্ত’। প্রশাসনের এক আধিকারিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দিন আর রাতের সন্ধিক্ষণটা এখানে মোহময়। তাই ওই হাটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সূর্যাস্ত’।

তোড়জোড়: এখানেই হবে হাটের উদ্বোধন। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

তোড়জোড়: এখানেই হবে হাটের উদ্বোধন। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১২
Share: Save:

প্রশাসনিক উদ্যোগে কংসাবতীর তীরে একটি জায়গাকে সাজানো হয়েছে। অনেকটা পার্কের ধাঁচে। সপ্তাহান্তে এখানে হস্তশিল্পের হাট বসবে। হাটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সূর্যাস্ত’। আজ, শনিবার এই হাটের উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনে থাকার কথা জেলাশাসক রশ্মি কমল, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখের।

মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘সামনে দিয়ে নদী চলে গিয়েছে। মেদিনীপুরের এই জায়গাটি বেশ ভাল। বিকেলে অনেকে এখানে আসেন। সবদিক দেখেই জায়গাটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সপ্তাহান্তে এখানে হস্তশিল্পের হাট বসবে।’’ মেদিনীপুর শহরের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে রাঙামাটি। রাঙামাটির এক পাশেই গড়ে উঠেছে ‘সূর্যাস্ত’। প্রশাসনের এক আধিকারিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দিন আর রাতের সন্ধিক্ষণটা এখানে মোহময়। তাই ওই হাটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সূর্যাস্ত’।

উদ্যোগটা শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগে। ঠিক হয়েছিল, কংসাবতীর তীরে এই জায়গাটি সাজানো হবে। সেই মতো অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মেদিনীপুরের একাধিক সংস্থার সদস্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে। এলাকা সাজানোর কাজ কেমন চলছে তা দেখতে এই সময়ের

মধ্যে দফায় দফায় পরিদর্শনে গিয়েছেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অম্লানকুসুম ঘোষ প্রমুখ। এলাকা ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। কাঠ নয়, বসার জন্য বাঁশের বেঞ্চ করা হয়েছে এখানে।

কংসাবতী নদীর তীরে এই জায়গার পরিবেশ বেশ মনোরম। সেই টানেই অনেকে বিকেলে আসেন এখানে। মেদিনীপুরের কোথাও হস্তশিল্পের হাট নেই। সবদিক দেখে জায়গাটি সাজানোর পাশাপাশি এখানে হাট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়। আপাতত, সপ্তাহে একদিন, শনিবার ওই হাট বসবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এখানে বসতে দেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ‘সূর্যাস্তে’ প্রতি শনিবার হাট বসার পাশাপাশি লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।

শহরের বুকে এই ধরনের পার্ক হওয়ায় খুশি শহরবাসী। স্থানীয় সুশান্ত ঘোষের কথায়, ‘‘আমরা আগে শুনতাম, বিভিন্ন শহরে ভাল পার্ক রয়েছে। যেখানে হস্তশিল্পের হাট বসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন ওই সব পার্কে বেড়াতে যান। সেই সময়ে মনে হত, আমাদের শহরেও এ ধরনের পার্ক থাকলে ভাল হত!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kangsabati River Suryasta Tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE