সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে দাগি অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকার ১০৪ নম্বরে নাম রয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীর। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরি আগেই গিয়েছিল। ফেরত দিতে হয় টাকাও। তালিকার অঙ্কিতা যে আসলে তিনিই, শনিবার তা স্বীকার করে নেন পরেশ-কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশে ২০২২ সালে চাকরি যায় তাঁর। বর্তমানে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের সম্পাদকের পদে রয়েছেন। দাগি অযোগ্যদের তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নাম জুড়ে যাওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার অন্দরে। অঙ্কিতা এ দিন বলেন, ‘‘আমি বাদেও তো ওখানে অনেকের নাম রয়েছে। তবে কেন আমাকেই নিশানা করা হয়?’’ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন, ‘‘এই অযোগ্যদের ধরে ধরে আদালত জিজ্ঞাসা করুক, তাঁরা কোন তৃণমূল নেতার থেকে চাকরি কিনেছিলেন।’’ পরেশ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় ৬৪৭ নম্বরে নাম রয়েছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা চৌহাটি হাই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা কুহেলি ঘোষের। কুহেলি বলেন, ‘‘২০২২ সালে সিবিআই একই রকম একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেখানেও আমার নাম ছিল। সেই তালিকা প্রকাশের পরেই সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে আমি আদালতে মামলা করি। কারণ আমি জানি, আমি নিজের যোগ্যতায় স্বচ্ছ ভাবে চাকরি পেয়েছি। তার পর থেকে তিন বছরে সিবিআই আমাকে ডাকেনি। এসএসসির তালিকা নিয়েও নতুন করে মামলা করব।’’ তালিকায় রয়েছে এক তৃণমূল বিধায়কের পুত্রবধূর নামও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)