মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালকে দেশের সেরা বললেন। নিজস্ব চিত্র
আদালত যাই বলুক, এসএসকেএম হাসপাতালকেই ভারত সেরা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নজরুল মঞ্চের সভায় এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। সঙ্গে সংস্থার ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে বঙ্গভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ও তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওড়িশার ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খোলেন মমতা। সেই বক্তৃতায় কেন পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা লজ্জা লাগছিল, বলছে ওড়িশার এমসে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসার জন্য। আমার এখানে বেঙ্গলে অল ইন্ডিয়ার মধ্যে পিজি হসপিটাল নাম্বার ওয়ান। মেডিকেল কলেজ আছে। এনআরএস আছে। বাঙুর আছে। সাগর দত্ত আছে। শম্ভুনাথ আছে। প্রাইভেটেও অনেক ভাল ভাল হাসপাতাল আছে।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘কেন বাবা যেখানে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের ছোঁয়া আছে, ইএসআই হসপিটাল। কমান্ডহসপিটালে যেতে হবে। হোয়াট ইজ দ্য ইনটেনশন। অল ইন্ডিয়া মেডিকেল ইনস্টিটিউট ওড়িশায় নিয়ে যেতে হবে। কেন বাংলা কি কিছু নেই। এটা বাংলার মানুষের অসম্মান নয়?’’
এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টরকে বঙ্গভূষণ দেওয়ার সময়ও এসএসকেএম হাসপাতালকে দেশের সেরা হাসপাতাল বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, রবিবারেই পার্থের অসুস্থতা জনিত মামলায় রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট এসএসকেএম সম্পর্কে বেশকিছু ‘বিরূপ’ মন্তব্য করেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে গিয়ে এসএসকেএম সম্পর্কে লিখিত ভাবে বলেছেন, ‘এ কথা বলা নিষ্প্রয়োজন যে, চিকিৎসকেরা হিপোক্রিটিক ওথ নিয়ে যখন চিকিৎসা শুরু করেন, তখন তাঁদের চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত। যদিও এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের ভূমিকায় আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকরা খুশি নন। সাম্প্রতিক অতীতে শাসকদলের একাধিক উচ্চ পদাধিকারীকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছে বা তদন্তকারী সংস্থার জেরায় হাজির হতে বলা হয়েছে, তখন তাঁরা জেরা এড়াতে এই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা জেরা এড়িয়েও গিয়েছেন। যখন তাঁরা দেখেছেন, আর জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা নেই, তখন তাঁরা হাসপাতাল ছেড়ে গিয়েছেন। এই হাসপাতালের তরফে দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্টের জোরে তাঁরা আদালতে হাজিরাও এড়িয়ে গিয়েছেন।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy