ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)-এর দফতরে আয়কর বিভাগের ‘সমীক্ষা’ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পরে মমতা তাঁর বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, মোদীর বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশের ‘অপরাধে’ কেন্দ্রের নিশানায় এসেছে বিবিসি।
অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে বুধবার রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে বক্তৃতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে দল বেঁধে বিজেপি বিধায়কেরা অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। এর পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় চন্দ্রিমার বাজেটের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘নতুন কোনও কর না চাপিয়ে গরিব মানুষের বাজেট হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করা বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দফতরে আয়কর বিভাগের ‘সমীক্ষা’ নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিবিসি সত্যি এবং আপডেট তথ্য দেয়। বিবিসির বিরুদ্ধে এমন কেন করা হল?’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘বিবিসি এই সরকারের (কেন্দ্র) বিরুদ্ধে কিছু দেখিয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাবশত এমন কাজ করা হয়েছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। যা ইচ্ছে তাই করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন:
মোদী বা পদ্মশিবিরের কারও নাম না করে মমতার মন্তব্য, ‘‘হিটলার, চেসেস্কুর (রোমানিয়ার নিহত কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট) চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর একনায়ক। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র বিচারব্যবস্থাই দেশকে বাঁচাতে পারে।’’ সেই সঙ্গে মমতা জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি সংবাদমাধ্যমের পাশে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
বিজেপি বিধায়কদের অনেকেই সোমবার অধিবেশনে এসেছিলেন মাস্ক পরে। কয়েক জনের মাস্কে সাঁটা ছিল ৫০০ টাকার নোট। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার আগে তাঁদের দলবদ্ধ ভাবে অধিবেশন কক্ষ ছাড়াকে অনেকেই ‘ওয়াকআউট’ বলে ভেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু পরে জানান তাঁরা ওয়াকআউট করেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে অধিবেশন কক্ষ ছেড়েছি। বক্তৃতার মাঝে বেরিয়ে আসিনি। একে ওয়াকআউট বলা যায় না।’’ সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতার দাবি, পরিষদীয় প্রথা অনুযায়ী বাজেট পেশের দিন বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ বক্তৃতা করেন না।