ফাইল চিত্র।
স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছে তারা। প্রাথমিক ভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেওয়া হবে। স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সরকার।
আগামী সোমবার থেকেই মহারাষ্ট্র এবং মুম্বইয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আওয়াজ উঠেছে অভিভাবক-সহ নানা মহল থেকে। স্কুল, কলেজগুলি খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারও তৎপর হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি আলোচনা শুরু করেছে। শাসক দলের মুখপত্রেও শনিবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ। মাঝে করোনার প্রকোপ একটু কমায় রাজ্যে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলেছিল। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও খুলেছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষ থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলির দরজা বন্ধ করতে বাধ্য হয় সরকার।
কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলিকে বন্ধ করে রাখা হচ্ছে? তা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরব হচ্ছেন অভিভাবকরাও। বিরোধী দলও প্রশ্ন তুলেছে, জিম, রেস্তরাঁ, পাব, ট্রেন-বাস খোলা রাখলে তবে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে না পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শিক্ষা মহলের অনেকের মতে, স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ করে রাখায় গত দু’বছরে অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। যা অপূরণীয়। কিন্তু এ বার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খুলে ফেলা প্রয়োজন বলেই মত তাঁদের।
সম্প্রতি #openschoolcollegeuniversities ট্রেন্ডিং হয়েছিল নেটমাধ্যমে। এই ‘হ্যাশট্যাগ’ পোস্ট দিয়ে করোনার জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানানো শুরু হয়েছে। সই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। যেখানে সাধারণ অভিভাবক থেকে শামিল হতে শুরু করেছেন বিশিষ্টজনেরাও। তাঁদের দাবি, রাজ্যে এ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক। নচেৎ তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
ওই ‘প্রতিবাদ’ সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইনকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, ‘‘আমরা স্কুল খুলতেই চাই। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি প্রতিদিন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী উপযুক্ত সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy