প্রধানের মুখোমুখি। —নিজস্ব চিত্র
জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে ৭-১৩ অগস্ট পুরুলিয়ার প্রতিটি স্কুলে পালিত হচ্ছে নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ। সপ্তাহভর স্কুল সাফ-সুতরো করার কাজ করতে গিয়ে ছাত্রীদের মনে হয়েছে স্কুলে শৌচাগারের সংখ্যা বড্ড কম। আরও শৌচাগার চাই। সেই দাবি নিয়ে সরাসরি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হল হুড়া ব্লকের কুলাবহাল পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠের ছাত্রীরা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে পড়ুয়ার সংখ্যা কমবেশি ছশো। তাদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা অর্ধেকের কিছু বেশি। স্কুলে ছাত্রদের জন্য দু’টি শৌচাগার থাকলেও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি। ছাত্রীরা জানাচ্ছে, একটিই শৌচাগার থাকায় নানা সময়ে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। যেহেতু স্কুল চত্বরের বাইরে ঝোপঝাড় বা আগাছা রয়েছে, সেই আড়াল ব্যবহার করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। একাধিক ছাত্রীর কথায়, ‘‘এখন বর্ষাকাল। ঝোপঝাড়ে যাওয়াও ঝুঁকির। সাপ বা বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে। তা ছাড়া, স্কুল ছেড়ে বাইরে বেরনোও সমস্যার।’’ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পীযূষ রজক বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। ছাত্রীদের মনে হয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত শৌচাগার প্রয়োজন। নানা বিষয়ের সঙ্গে তারা সেই বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে বলেছে।’’
ওই স্কুলের ছাত্রী চায়না মাহাতো, মনীষা মাহাতো, শিখা মাহাতো, সীমা মাহাতোরা বলে, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান এক জন মহিলা। তিনি আমাদের সমস্যা বুঝবেন বলেই আরও নানা প্রয়োজনের সঙ্গে আমরা তাঁর কাছে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত শৌচাগার গড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’ স্থানীয় জবড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবণী মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই স্কুলের মেয়েরা ওদের সমস্যার কথা জানিয়েছে। এত ছাত্রীর জন্য একটি মাত্র শৌচাগার থাকা সত্যিই সমস্যার। শীঘ্রই আমি ওই স্কুলে গিয়ে সরেজমিন দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy