Advertisement
E-Paper

নিয়মের গেরো, সুযোগ কমেছে গবেষণার

পঠনপাঠন হচ্ছে নিয়ম মেনেই। গবেষণার কোর্স ওয়র্কও বহাল তবিয়তে। তবু নেট উত্তীর্ণ হয়েও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন না বহু পড়ুয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪৮

পঠনপাঠন হচ্ছে নিয়ম মেনেই। গবেষণার কোর্স ওয়র্কও বহাল তবিয়তে। তবু নেট উত্তীর্ণ হয়েও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন না বহু পড়ুয়া। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন নিয়মে রিসার্চ স্কলার নেওয়ার সুযোগ কমে গিয়েছে অধ্যাপকদের। যার ফলে নেট পাশ করেও, গবেষণার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন প্রায় শ’খানেক পড়ুয়া।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, আগে অ্যাসোসিয়েট বা অ্যাসিস্ট্যান্ট, যে কোনও পদের অধ্যাপকই সর্বোচ্চ আট জন করে রিসার্চ স্কলার নিতে পারতেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করেছে, এক জন অধ্যাপক সর্বোচ্চ আট জনকে গবেষণার কাজে নিতে পারবেন। কিন্তু অ্যাসিস্ট্যান্ট অধ্যাপক এবং অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক সর্বোচ্চ ছ’জন এবং চার জনকে গবেষক হিসেবে নিতে পারবেন। ফলে সার্বিক ভাবে নতুন রিসার্চ স্কলার তৈরি হওয়ার সুযোগ কমছে। উপরন্তু আগেভাগেই আট জনের হিসেবে গবেষক নিয়ে রেখেছেন বহু অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক। সুতরাং একে একে তাদের সকলের কাজ
শেষ হওয়ার পরে তবেই সুযোগ পাবেন নতুনরা।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান অরবিন্দ মাইতি জানান, প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে রিসার্চ স্কলার নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ বছর এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। তাই বেশ কয়েক বছর ধরেই যাঁরা পাশ করছেন, তাঁদের আর গবেষণায় ঢোকার সুযোগ থাকছে না। এক অধ্যাপকের হিসেবে, একটি বিভাগে যদি দশ জন অধ্যাপক থাকেন তা হলে ইউজিসির পুরনো নিয়ম অনুযায়ী প্রতি অধ্যাপক আট জন স্কলার নিলে ৮০ জন করে গবেষক কাজ করছেন। কিন্তু নতুন নিয়মে দেখা যাচ্ছে, হিসেব মতো চললে ৫০ থেকে ৬০ জন হয়তো গবেষণায় সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকদের এই কোটা ভর্তি হয়ে থাকায় সুযোগ থাকছে না সদ্য পাশ করা পড়ুয়াদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬টি বিভাগ আছে। এই মুহূর্তে একশোরও বেশি পড়ুয়া গবেষণা করতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ জানান, অধ্যাপকদের অনেকেই বেশি গবেষক নিতে চান না। আবার অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপকেরা বেশি গবেষক নিতে আগ্রহী হন। সে ক্ষেত্রে সংখ্যার এই বাঁধনে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তবে আশার আলোও দেখিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘নভেম্বরের মাঝামাঝি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে নতুন গবেষক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চাইছি।’’

research
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy