ছবি: সংগৃহীত।
ছাত্র কাউন্সিল নয়, নির্বাচিত ছাত্র সংসদ চেয়ে সরব হয়েছিল শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-ও। এই প্রেক্ষিতে অবশেষে ছাত্রভোটের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল রাজ্য সরকার। আপাতত রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যাদের অধীনে কোনও কলেজ নেই) ছাত্রভোট করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ছাত্র ইউনিয়ন বা কাউন্সিল তৈরির জন্য যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রভোট করতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ভোটের দিনক্ষণ ও নিয়মবিধি ওই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেই স্থির করতে বলা হয়েছে।’’
রাজ্যে শেষ বার ছাত্রভোট হয়েছিল ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে। ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন কলেজে অশান্তির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মডেলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়া হবে। পরে বিধানসভায় বিল এনে সরকার সেই কাউন্সিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও তা গড়া হয়নি। ছাত্র কাউন্সিলের বিরোধিতায় নামে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে টিএমসিপি-ও অগস্টে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেয়, ছাত্রছাত্রীরা রাজনৈতিক ছাত্র সংসদের পক্ষেই মত দিয়েছেন।
এ দিনের সরকারি নির্দেশে জোর দিয়ে ছাত্র কাউন্সিলের কথা বলা হয়নি। ভোটের পরে কাউন্সিল বা ছাত্র সংসদ— যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপযুক্ত, তা গড়তে বলা হয়েছে।
ছাত্রভোট চেয়ে এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবার করে টিএমসিপি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের বলেন, আপাতত কলেজহীন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট হোক। পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও হবে। তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা ছাত্রভোটের দাবি করছিলাম। এত দিনে সেটা হচ্ছে।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা দেবরাজ দেবনাথ জানান, রাজনৈতিক ছাত্র সংসদ চান তাঁরা। এখানে সেটাই গড়তে হবে। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা বরাবর নির্বাচিত ছাত্র সংসদের দাবি জানিয়ে আসছি। এ দিনের নির্দেশ সেই দাবির জয়। বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংসদ বা অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়ার কথা বলেছে সরকার। অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়ার নির্দেশেই থেমে থাকেনি। আমরা চাই, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই দ্রুত ভোট হোক।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘চিঠি পেয়েছি। নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা করব।’’ রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানান, বিজ্ঞপ্তি পাননি। পেলে নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy