‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি বিভাগের আইসিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে আইসিসিইউতে সাধারণ শয্যায় রাখা হয়নি তাঁকে। ‘কাকু’ রয়েছেন শিশুদের জন্য বরাদ্দ একটি শয্যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অন্য কোনও শয্যা খালি না থাকায় ওই শয্যায় তাঁকে রাখা হয়েছে।
নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএমে। তাঁর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে অনেক দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইডি। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও তা সংগ্রহ করা যায়নি। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দাবি, সুজয় অসুস্থ। তাঁর স্বাস্থ্য গলার স্বরের নমুনা দেওয়ার উপযোগী নয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি।
আদালতের নির্দেশে এসএসকেএমের বাইরে সুজয়কে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জোকা ইএসআই হাসপাতালে গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডও। শুক্রবারই এসএসকেএম থেকে সেখানে ‘কাকু’কে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সবুজ সঙ্কেত দিলে শুক্রবারই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ইডির। কিন্তু তার আগেই ব্যাঘাত ঘটেছে আবার। এসএসকেএম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ‘কাকু’র শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাই তাঁকে আইসিসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এসএসকেএমে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকেরা। পৌঁছয় একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সও। কিন্তু সুজয়কৃষ্ণকে শুক্রবার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সুজয় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাই তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউতে মোট তিনটি শয্যা শিশুদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ১৮, ১৯ এবং ২০ নম্বর শয্যাগুলিতে শিশুদের চিকিৎসা হয়ে থাকে। ‘কাকু’কে রাখা হয়েছে ১৮ নম্বর শয্যায়। এ প্রসঙ্গে, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসাই তাঁদের প্রাথমিক কর্তব্য। জরুরি পরিস্থিতিতে যে কোনও শয্যায় রেখেই রোগীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা যায়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই করা হয়েছে।
সুজয়কৃষ্ণের অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএমের সুপার পীযূষ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। জানিয়েছেন, যা বলার তিনি ইডিকে বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে কিছু বলবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy