ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ‘উন্মত্ত ষাঁড়ের’ মতো কাজ করছে বলে আজ অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিজেপি সরকার ভয় দেখাচ্ছে।’’ তবে তাঁর দাবি, ‘‘সেই চাপের কাছে নত না হয়ে পরিস্থিতির রাজনৈতিক এবং আইনগত মোকাবিলা করতে প্রস্তুত তৃণমূল।’’
বিজেপি শিবিরের দাবি, অহেতুক তাদের দিকে আঙুল তুলে লাভ নেই। অভিযোগের তদন্তে নেমে তদন্তকারী সংস্থা যা ঠিক তা-ই করছে। বিজেপি তাদের প্রভাবিত করে না। কেউ নিরপরাধ হলে তদন্তের শেষেই তা স্পষ্ট হবে বলে তাদের মত।
বুধবারই নারদ কাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ পাঁচ তৃণমূল নেতার নামে চার্জশিট দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেখানে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর নাম কেন নেই, তা নিয়ে রাজ্যে সরব হয়েছিল তৃণমূল। আজ দিল্লিতে বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়ে সুখেন্দুশেখর বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীকে নারদ কাণ্ডে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তিনি বিজেপির লোক বলে কি চার্জশিটে নাম রাখা হল না?” কয়লা পাচার-কাণ্ডের সূত্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে ইডি-র তলব নিয়েও সরব হন তৃণমূলের এই রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলিকে বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। তাই এটা তাঁকে আটকানোর নতুন চেষ্টা।” তৃণমূলে যাওয়া, তথ্যের অধিকার আন্দোলনের কর্মী সাকেত গোখলে ইডি-র অধিকর্তা সঞ্জয় কুমার মিশ্রের বিরুদ্ধে টুইটে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘কয়েক বছর রিটার্ন দাখিল করেননি সঞ্জয় কুমার মিশ্র।’’ তৃণমূলের প্রশ্ন, ইডি প্রধানই যদি এমন কাজ করেন, তাঁর উপর কতটা ভরসা রাখা যায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy