একের পর এক জেলা সম্মেলনে ভিড় উপচে পড়ছে। কিন্তু ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন হচ্ছে না। হলে নোয়াপাড়া ও উলুবেড়িয়ার উপনির্বাচনে ‘প্রহসনে’র মধ্যেও ফল এত খারাপ হতো না! সাংগঠনিক ভাবে কী পদক্ষেপ করলে এই বিপর্যয় থেকে বেরোনো যাবে, দলের নেতা-কর্মীদেরই এ বার তার উপায় ভাবতে বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। আলিমুদ্দিনে বুধবার দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের শুরুতে সূর্যবাবুর পরামর্শ, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করা যাবে কি যাবে না, এই বিতর্কে বেশি সময় ব্যয় না করে সংগঠন মেরামতেই নজর দিন দলের নেতারা।
রাজ্য সম্মেলনের জন্য রাজনৈতিক প্রতিবেদনের খসড়া এ দিন পেশ করা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন সমঝোতা হয়েছিল বলেই তৃণমূলকে হারিয়ে বিকল্প সরকার আসতে পারে— এমন একটা ধারণা জনমানসে তৈরি করা গিয়েছিল। যদিও আসন জয়ের নিরিখে তেমন সাফল্য মেলেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি সিপিএমের রাজ্য কমিটির ওই সিদ্ধান্তকে ‘মান্যতা’ দেয়নি। এর পরে দলের রাজনৈতিক লাইন কী হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পার্টি কংগ্রেসেই। রাজ্য সম্মেলনের মঞ্চে রাজ্য সিপিএম দেখাতে পারে, দলের এখানকার নেতা-কর্মীদের মনোভাব কী। সেই অনুযায়ীই মতামত দিচ্ছেন রাজ্য কমিটির সদস্যেরা।
দলীয় সূত্রের খবর, খসড়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বর্ধমান, জলপাইগুড়ির মতো কিছু জেলার নেতৃত্ব মত দিয়েছেন, কারও সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা না করে বামেদের এখন নিজস্ব শক্তিতেই লড়া উচিত। ‘বিভ্রান্তি’ কাটলে নিচু তলা থেকে বিজেপির দিকে সমর্থন চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে তাঁদের মত। অন্য নেতারা অবশ্য মত দিয়েছেন জোটের পক্ষেই।