শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রাক্তন’ করে দেওয়ার দায়িত্ব বিজেপি তাঁকে দিয়েছে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
কাঁথির মতোই রানাঘাটে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পরে শুক্রবার পাল্টা সভা করেন শুভেন্দু। একই ভাবে এ দিনও তাঁর মূল নিশানায় ছিলেন মমতাই। এ দিন তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসল চোর কোথায় বসে আছে? চোদ্দো তলায় (নবান্ন)। টেনে নামাতে হবে।’’ একই সঙ্গে নদিয়ার সভা থেকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বড় ডাকাত, যাঁকে আমি ‘হালি নেতা’ বলি, তিনি যার আলোকে আলোকিত তাকে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়েছে। এখানে এসে বলছে, প্রধান চোর?”
বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার থেকে বাঁচতে যে দলবদল করে বিজেপিতে গেছে, সে চুরির কথা বলছে!’’ সেই সঙ্গেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘নন্দীগ্রামের সমবায় নির্বাচন গো হারা হেরে ভুল বকতে শুরু করেছেন শুভেন্দু।’’
এ দিন রানাঘাটের ফ্রেন্ডস ক্লাব ময়দানে সভা করে বিজেপি। সেখানে শুভেন্দু দাবি করেন, “দল একটা দায়িত্ব দিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে। হারিয়েছি। আর একটা কাজ বাকি আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। সে কাজটা আমি করব। আপনাদের নিয়েই করব।”
কাঁথির মতো এখানেও ‘পার্থ-কেষ্ট চুনোপুঁটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি’ স্লোগান দিয়ে দুর্নীতির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে শুভেন্দু বলেন, “হাওয়াই চটিকে ধরতে হবে। রানি মৌমাছি নিজে মধু সংগ্রহ করে না। শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে আর রানি মৌমাছি সেই মধু উপভোগ করে।’’ জবাবে কুণাল বলেন, ‘‘এখনও গা থেকে তৃণমূলের গন্ধ যায়নি। বড় বিজেপি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে প্রলাপ বকছেন শুভেন্দু।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy