শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
আগামী ২৪ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশন। এ বারের অধিবেশন চলতে পারে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। আর এই অধিবেশনেই শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে বিজেপি পরিষদীয় দল। যে কারণে আগামী ২৮ নভেম্বর পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে আক্রমণ শানিয়ে উত্তাপ ছড়াতে চান তিনি। তাই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেই বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।
২৪ তারিখ অধিবেশনের প্রথম দিন শোকপ্রস্তাবের পর মুলতুবি হয়ে যাবে। তারপর তিন দিনের বিরতি থাকবে বিধানসভার অধিবেশনে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ তারিখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে অধিবেশনের কাজকর্ম, চলতে পারে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই মঙ্গলবার থেকেই যাতে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াতে পারেন, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কৌশল আলোচনা করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলেই বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।
পুজোর পরেই রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাই এ বারের অধিবেশনে রেশন দুর্নীতি নিয়েই রাজ্য সরকারকে আক্রমণের মুখে ফেলতে চান বিজেপি বিধায়করা। বৈঠকে সেই বিষয়েই রণনীতি বাকি বিধায়কদের জানিয়ে দেওয়া হবে। বিজেপি পরিষদীয় দল জেনেছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হতে পারে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠককে কেন্দ্র করেও বিধানসভাতে আক্রমণ শানাতে চান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের যুক্তি, রাজ্যে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর একে একে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর এ বার ইডির হাতে ধরা পড়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। তাই এ বারের অধিবেশনে সম্মিলিত ভাবে এই চারটি গ্রেফতারিকে সামনে রেখেই শাসকদলকে আক্রমণের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy