ফাইল চিত্র।
দাদা কে? তিনি তো দিদিরই সৈনিক। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীদের দলহীন কর্মসূচি প্রসঙ্গে এ ভাবেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল।
সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের কার্যকলাপ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অথচ ক্রমশ দলহীন জনসংযোগের মাত্রা ও পরিধি বাড়াচ্ছেন শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে রুটিন সাংবাদিক বৈঠকের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরী। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে উঠেছিল, শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের দলহীন কর্মসূচি প্রসঙ্গ। উত্তরে দেবাশিস বলেন, ‘‘দাদা বলতে কাকে বোঝাচ্ছে?’’ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলতেই জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমি শুনেছি শুভেন্দু অধিকারী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন— আমাদের দলের একজনই নেত্রী, আমি তাঁর সৈনিক। এরপর আর কী কথা
থাকতে পারে!’’
এরপরই দেবাশিস বলেন, ‘‘খুব কৌশলে তৃণমূলের লড়াইয়ের অভিমুখটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই চেষ্টা সফল হবে না।’’ কারা করছে এসব? এ বার দেবাশিসের জবাব, "যারা এই প্রশ্ন গুলো বাজারে ছাড়ছে। এই সরকার যাতে পুনরায় ফিরে আসতে না পারে তারজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের তৃণমূল স্তরের পরীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মীরা খুব সহজেই ধরতে পারবে বিজেপির এই কৌশলটা।’’
মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিস ছাড়াও ছিলেন জেলা তৃণমূলের আর এক মুখপাত্র শান্তনু ভুঁইয়া। দেবাশিস অভিযোগ করেন, ‘‘করোনাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনীতিটা বন্ধ হোক, করোনার আড়ালে দিল্লির সরকার নিজেদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’’
তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে রাজনীতি বেশি রাজ্য সরকারই করছে, তাছাড়া তৃণমূল নিজে থেকেই ভেঙে যাবে। কাউকে কোনও কৌশল নিতে হবে না।’’
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উঠেছিল খড়্গপুরে রাবন দহনে দূরত্ব বিধি উড়িয়ে এত মানুষের সমাগমের প্রসঙ্গ। খড়্গপুরের তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরী সরাসরিই বলেন, ‘‘এত বড় জমায়েত না হলেই ভাল হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy