E-Paper

ফের শুভেন্দুর তির, পাল্টা সিপিএমেরও

সোনারপুরে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, বিজেপি এখন বিরোধী পরিসর তৈরি করতে পেরেছে বলেই সিপিএম সভা-সমাবেশ করতে পারছে! পাল্টা শুভেন্দুকে বিঁধেছে সিপিএমও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ০৮:৩৬
Suvendu Adhikari

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

মালদহে গিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ‘চিরকুটে চাকরি’র অভিযোগ নিয়ে। এ বার সোনারপুরে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, বিজেপি এখন বিরোধী পরিসর তৈরি করতে পেরেছে বলেই সিপিএম সভা-সমাবেশ করতে পারছে! পাল্টা শুভেন্দুকে বিঁধেছে সিপিএমও।

দুর্নীতির প্রতিবাদে রবিবার রাজপুর ফাঁড়ি থেকে সোনারপুর স্টেশন পর্যন্ত বিজেপির মিছিলে ছিলেন শুভেন্দু। তার পরে সোনারপুর স্টেশনের পাশে সভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে আগে বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ওঁরা কিছুই করতে পারেননি। এখন বিজেপি আছে। প্রতিবাদ হচ্ছে। আমি বিরোধীদের জায়গা তৈরি করেছি। সেই কারণেই সিপিএম সভা-সমাবেশ করতে পারছে। কিন্তু ওরা আবার বিরোধী ভোট ভাগ করতে নেমেছে। নিজেদের ভোট দেওয়ার আবেদন না করে আগে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন করছে!” সিপিএম ভোট কেটে নেওয়ায় গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রায় ৬০টি আসন হাতছাড়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, সিপিএম ও কংগ্রেস ‘সেটিং’ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে।

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় শুভেন্দু কথা বলছেন। উনি বলেছেন, বিজেপির জন্য নাকি সিপিএম মিটিং-মিটিল করতে পারছে! মনে করিয়ে দিই, শুভেন্দু তৃণমূলে থাকার সময়ে ওঁর নেত্রীর সঙ্গে যখন ঘোষণা করেছিলেন লাল ঝান্ডা কোথাও দেখা যাবে না, তখনও সিপিএম মাঠে ছিল। এখনও আছে! আমরা বিজেপি-তৃণমূলকে আসলে এক শক্তি বলে মনে করি।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘শুভেন্দু ও দলের নেতারা বরং জবাব দিন, আদালতের নির্দেশের পরেও সারদা এবং নারদ-কাণ্ডে তদন্ত সম্পূর্ণ হল না কেন? দিল্লির প্রশ্রয়েই তৃণমূল টিকে আছে!’’

রাজপুর-সোনারপুরেই এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল ছিল রাজ্যের পাওনা আটকে রাখার প্রতিবাদে। বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, অরুন্ধতী (লাভলি) মৈত্র প্রমুখ ছিলেন মিছিলে। কেন্দ্র তথা বিজেপির ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসির সম্পত্তি বৃদ্ধির খতিয়ান তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘বিধায়ক এবং তাঁর স্বামী সাধারণ মানুষকে লুট করছেন। এই মস্তানি বেশি দিন চলবে না!” তৃণমূল বিধায়ক লাভলি আবার বলেছেন, ‘‘যিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁর মুখে এ সব কথা মানায় না!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suvendu Adhikari TMC CPM

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy