প্রাইভেট প্রাকটিস করবেন না— কোনও সরকারি চিকিৎসক এই মর্মে সম্মতি দিলে তাঁকে বিশেষ ভাতা দেয় স্বাস্থ্য দফতর। এই সংক্রান্ত সম্মতি জানিয়ে, সরকারি ভাতা নিয়েও বেসরকারি জায়গায় স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পে চিকিৎসা করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে অনেক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার এমন ১৯ জন সরকারি চিকিৎসককে এ বার নথিপত্র-সহ ডেকে পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ভবন। আগামী ১২ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সেই কমিটির সামনে হাজির থাকতে বলা হয়েছে ওই ১৯ চিকিৎসককে।
সরকারি চিকিৎসককে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করতে গেলে রাজ্যকে জানাতে হয়। যাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ করেন না তাঁরা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ ভাতা পান। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওই ১৯ জন সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের বিশেষ ভাতা নিয়েও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করেছেন তাঁরা। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলার ওই ১৯ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
দু’দফায় ওই ১৯ জনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি ন’জন ও ২০ ফেব্রুয়ারি ১০ জনকে ডাক পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রাইভেট প্রাকটিস করার ছাড়পত্র (এনওসি), মাইনের শেষ মাসের নথি (পে স্লিপ) এবং অন্যান্য নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে ওই ১৯চিকিৎককে।