ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু এবং মানিকের যোগসূত্র থাকতে পারে। —ফাইল চিত্র।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কোনও সম্পর্ক ছিল? তাঁদের দু’জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা একই কি না, তা মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। শনিবার এমনই তথ্য পাওয়া গেল ইডি সূত্রে।
শুক্রবার রাতে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা শান্তনুকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। বিকেলের পর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সকালে ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন শাসকদলের যুবনেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই অবশ্য শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের দাবি, তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার ওই বিষয়ে গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শান্তনু। তাতে শান্তনুর বয়ানে একাধিক ‘অসঙ্গতি’ মেলে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির আর এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের গ্রেফতারির পরেই শান্তনুর নাম উঠে আসে। যদিও কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি শান্তনুকে চেনেন না। কিন্তু ইডির একটি সূত্রের দাবি, ২০১৪ সাল থেকেই কুন্তল এবং শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। এখন শান্তনু-মানিকের যোগসূত্র রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy