রাজনৈতিক রং ছাড়াই তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে তাঁরা নবান্ন অভিযানও করবেন। রবিবার বিকাশ ভবনের সামনে থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারী চাকরিহারা শিক্ষকেরা। শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির উদ্দেশে তাঁদের বার্তা, সংসদের অধিবেশনে তাঁদের বিষয়ে আলোচনা করা হোক।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অন্যতম মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির হাতে যাবে না। রাজনৈতিক রং বাদ দিয়েই আন্দোলন হবে। নবান্ন অভিযানও হবে। বিজেপি এবং তৃণমূলকে হোম টাস্ক দিচ্ছি। আপনারা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেবেন। বলবেন যে, যোগ্যদের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। পার্লামেন্টেও আমাদের হয়ে কথা বলতে হবে।’’ সিপিএমের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টে আমাদের ফ্রড (প্রতারক) বলেছেন। সেটা সংশোধন করে আমাদের প্যানেল যাতে বাঁচে, সেটা নিয়ে কথা বলুন।’’ চাকরিহারাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক দলগুলি এই কাজ করতে পারলে তাঁরা তাদের ভাল নম্বরও দেবেন।
শনিবারের মতো রবিবারও স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে এসে বিকাশ ভবনের সামনে ক্লাস করানো হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন। তারা জানিয়েছে, শনিবারের ঘটনায় শিশু সুরক্ষা, জুভেনাইল জাস্টিস আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। এই বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে বিধাননগর কমিশনারেটের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকাশভবনের সামনে আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় শুক্রবার বিধাননগর উত্তর থানায় মামলা দায়ের হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর পরেই ১৭ জন শিক্ষককে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। তাতে তারা জানিয়েছে, ওই শিক্ষকেরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান করেছেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে নোটিসে। ২১ মে, আগামী বুধবার সকাল ১১টায় থানায় হাজির হতে হবে ওই শিক্ষকদের। উপস্থিত না হলে বিএনএসের ৩৫(৬) ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।