নাজিবুল্লা। ফাইল চিত্রূা।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের হাতে পাইকরের কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানির গ্রেফতারের পরে বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র (নব্য জেএমবি-আইএস) যোগ আরও এক বার সামনে এল।
নাজিবুল্লার আত্মীয়-পরিজন তাঁকে নির্দোষ দাবি করলেও এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া ওই প্রৌঢ় আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্ত্বিক নেতা, যার হাত ধরেই বীরভূমে নতুন মডিউল তৈরি করার কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে ধৃতের কাছ থেকে বলেও এসটিএফের দাবি।
সেটাই কোথাও ভাবাচ্ছে জেলা পুলিশকে। কারণ, সেই বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের পর থেকেই বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি-যোগ জোরালো ভাবে সামনে এসেছে। গত বছর অগস্টে কলকাতার নগর দায়রা আদালত খাগড়াগড়-কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিম এবং তার স্ত্রী আলিমা বিবি। আলিমার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায় হলেও, আব্দুল বীরভূমের ডেউচার বাসিন্দা। গত বছর জুন মাসে এসটিএফের হাতেই ধরা পড়া চার জঙ্গির এক জন রবিউল ইসলামের বাড়ি পাইকর থানার নয়াগ্রামে। রবিউলের সঙ্গেও যোগ ছিল জেএমবি-র বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
শুধু তাই নয়, মাস তিনেক আগে নানুরের এক তৃণমূল নেতাকে খুনের সুপারি নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সহ বোলপুরে লুকিয়ে থাকা চার বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। ধৃতদের জঙ্গি যোগ আছে কিনা, খতিয়ে দেখতে তদন্তে এসেছিল এসটিএফ-ও। এ বার জেএমবি-যোগে ধরা পড়ল পাইকরের নাজিবুল্লা। এই নামকে ঘিরে নতুন করে জেলার সঙ্গে জঙ্গি-যোগের চর্চা শুরু হয়েছে। নাজিবুল্লার বাড়ি ও এলাকার পরিবেশ শনিবার ছিল থমথমে। কেউ মুখ খুলতে চাননি।
বীরভূম জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘এটা ফুটবলে মাঠের বিশেষ খেলোয়াড় নয়, যে ম্যান মার্কিং করা যায়। ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার বীরভূমে কোথায় কে লুকিয়ে নীরবে জঙ্গি সংগঠনের কাজ করে চলেছে, বলা শক্ত। তবে, প্রতি মুহূর্ত নজর রাখা হচ্ছে। শেষ গ্রেফতারির পিছনেও ছিল নজরদারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy