Advertisement
E-Paper

হৃদ্‌যন্ত্র আর ফুসফুসের আঘাতেই মৃত্যু সাত মাসের শিশু ধৃতিস্মিতার

খড়দহ থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে রানাঘাট পর্যন্ত ওই শিশু কী ভাবে কাউক্যাচারে আটকে থাকল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে রেল পুলিশ এবং পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৪
মৃত সেই শিশু ধৃতিস্মিতা।

মৃত সেই শিশু ধৃতিস্মিতা।

রানাঘাটে ট্রেনের কাউক্যাচারে আটকে থাকা সাত মাসের ধৃতিস্মিতা দে-র শরীরের বাইরের দিকে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেনের ধাক্কায় শিশুটির হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু খড়দহ থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে রানাঘাট পর্যন্ত ওই শিশু কী ভাবে কাউক্যাচারে আটকে থাকল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে রেল পুলিশ এবং পরিবার।

প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ট্রেনটি ‘থ্রু’ থাকায় কাউক্যাচারে আটকে থাকলেও শিশুটির দেহ কারও চোখে পড়েনি। কিন্তু খড়দহ থেকে রানাঘাট স্টেশনে পৌঁছনোর আগে পাঁচটি স্টেশনে থেমেছিল আপ লালগোলা প্যাসেঞ্জার। কিন্তু তখন ব্যাপারটা কেন কারও চোখে পড়ল না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ধৃতিস্মিতার বাবা বিশ্বরূপ দে অবশ্য খড়দহেই ট্রেনের ধাক্কায় অনেক দূরে ছিটকে পড়েন।

বিশ্বরূপবাবুর পাশের বাড়ির বাসিন্দা জয়ন্ত দাস মঙ্গলবার জানান, সোমবার রাতেই ময়না-তদন্তের পরে ধৃতিস্মিতার দেহ রহড়া মন্দিরপাড়ায় আনা হয়। ওই দিনই স্থানীয় হিন্দু সমাধিস্থলে শিশুটিকে সমাহিত করা হয়। ‘‘বাচ্চাটার সারা শরীরের বাইরে কোনও আঘাতের দাগই ছিল না। কী ভাবে বাচ্চাটা কাউক্যাচারে আটকে থাকল, বুঝতে পারছি না,’’ বলেন জয়ন্তবাবু। তিনি জানান, বিশ্বরূপবাবু যে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন, কয়েক মাস ধরেই সেটা লক্ষ করছিলেন তাঁর দাদা প্রণববাবুও। প্রবীণদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন ভাইকে। কিন্তু কাউকেই কিছু বলেননি বিশ্বরূপবাবু।

সোমবার রাতে একরত্তি মেয়ের মৃতদেহ দেখার পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন মা চন্দনাদেবী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়না-তদন্তের পরে বাড়িতে আনা হয় বিশ্বরূপবাবুর মৃতদেহ। ‘‘ধোঁয়াশা তৈরি করে গেল ছেলেটা,’’ বললেন পড়শি সুশান্ত চক্রবর্তী।

Ranaghat Baby Accident Rail Train
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy