বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে দেখা যায়নি। স্থানীয়বাসিন্দাদের মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েও বোমা খুঁজে পায়নি পুলিশ। সন্দেহ খতিয়ে দেখতে তারা খবর দিয়েছিল বম্ব স্কোয়াডকে। পরের দিন বেলায় বম্ব স্কোয়াড গিয়ে পাঁচটি তাজা বোমা উদ্ধারকরল বারাসত পুলিশ জেলার শাসনের দাদপুর এলাকার একটি পুকুরের ধার থেকে। বোমার খবর পেয়েও কেন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বম্ব স্কোয়াডের ২৪ ঘণ্টা সময় লাগল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
শাসন থানা সূত্রের খবর, সেখানকার বহিরা কালীবাড়ির কাছে বুধবার সকালের দিকে বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন স্থানীয়েরা। এমনও তাঁরা শুনেছিলেন যে, বোমা ফেটে কয়েক জন জখম হয়েছেন। খবর দেওয়া হয়েছিল শাসন থানায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই জানান, ওই দিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শাসন থানার পুলিশ। তবে বোমা কিংবা জখম কারওসন্ধান তারা পায়নি। তাই সন্দেহের নিরসন ঘটাতে শাসন থানা বারাসত পুলিশ জেলার বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয়। সেই বম্ব স্কোয়াড বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ এসে একটি পুকুরের পাশেরজঙ্গল থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে। প্রতিটি বোমাই তাজা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বোমা বাঁধার সুতলি, পলিথিন এবং একটি ড্রাম। তাজা বোমা উদ্ধারহওয়ার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোমাগুলি কে বা কারা রেখেছিল, তার খোঁজ শুরু করেছে শাসন থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, উত্তর বহিরা এলাকার এক দুষ্কৃতী ড্রাম ভর্তি করে বোমা মাটির তলায় চাপাদেওয়ার চেষ্টা করার সময়ে বিস্ফোরণ হয়। এমনকি জখমদেরও এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, বুধবার সারা দিন কাটিয়ে এ দিন প্রায় বেলা ১১টা নাগাদ বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ওই এলাকায় যান। গ্রামের মানুষ অনেক সময়েশৌচকর্ম সারতে ওই জায়গায় যান। সেই সময়ে বোমা ফেটে দুর্ঘটনা ঘটলে কী হত, সেই প্রশ্নও তুলছেন স্থানীয়েরা।
যদিও বারাসত পুলিশ জেলার এক পদস্থ কর্তার দাবি, ‘‘বম্ব স্কোয়াড কেন্দ্রীয় ভাবে কাজ করে। রাতে সাধারণত কাজ করে না। শাসন থানার সন্দেহ হওয়ায় তারা বম্ব স্কোয়াডকে খবর দিয়েছিল। বম্ব স্কোয়াড রুটিন চেক করতে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করেছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)