Advertisement
০৬ মে ২০২৪
SSC

SSC: প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগ কী ভাবে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিরতদের জানাতে বলল হাই কোর্ট

২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে বাংলার শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান পূর্ব মেদিনীপুরের জুঁই দাস এবং মালদহের আজাদ আলি মির্জা। অভিযোগ, ওই নিয়োগের জন্য যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে তাঁদের নাম ছিল না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ১৪:৪০
Share: Save:

প্যানেলে নাম না থাকা স্বত্ত্বেও কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন, সরাসরি তা চাকরিরত শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। এ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা চেয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই শিক্ষকদেরই জানাতে হবে তাঁরা কী ভাবে, কার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। কারণ, আদালতের কাছে আপাতত এটা পরিষ্কার যে, মেধাতালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। পাশাপাশি, এই মামলায় পূর্ববর্তী সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশের উপর আরও ২ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে বাংলার শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান পূর্ব মেদিনীপুরের জুঁই দাস এবং মালদহের আজাদ আলি মির্জা। অভিযোগ, ওই নিয়োগের জন্য যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে তাঁদের নাম ছিল না। তার পরেও তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, এত দিন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, ‘‘আমরা আদালতকে বলেছি, ওই নিয়োগ প্যানেল বহির্ভূত ছিল। তার সপক্ষে যে সব তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে তাতে আদালত সন্তুষ্ট।’’

গত মাসে এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলাটির শুনানি। আদালত ওই চাকরিরতদের দু’দিন সময় দিয়েছে। তার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে, তাঁরা কী ভাবে ওই চাকরি পেলেন। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SSC Calcutta High Court Recruitment Teachers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE