E-Paper

আইআইএম ধর্ষণ মামলায় থমকে গোপন জবানবন্দি

তবে মঙ্গলবারও আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। এর জন্য ফের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৩

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আইআইএম কলকাতার শিক্ষাঙ্গনে জনৈক তরুণীকে এমবিএ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ধর্ষণের তদন্তে অভিযুক্তের বন্ধু কয়েক জন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে অভিযোগকারিণী ওই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার পরে তাঁদের কারও কারও সঙ্গে অভিযুক্তের মোবাইলে কথা হয়েছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। তবে মঙ্গলবারও আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। এর জন্য ফের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘অভিযোগকারিণীর মানসিক অবস্থা বুঝে সংবেদনশীল থাকা জরুরি। তদন্তের স্বার্থে তাঁর গোপন জবানবন্দি এবং মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষার দরকার। কিন্তু তিনি যেন কোনও ভাবেই অসুস্থ না-হয়ে পড়েন সেটাও দেখতে হবে।’’ অভিযুক্তের আইনজীবী সুব্রত সর্দার বলেন, ‘‘পুলিশ নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এক মেধাবী ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযুক্ত দাবি করে আদালতে পেশ করল। অথচ প্রায় তিন দিন হয়ে গিয়েছে, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ ও মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা করাতে দেরি হচ্ছে। ধর্ষণের মামলায় গোপন জবানবন্দি ও মেডিক্যাল পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আদালত গ্রাহ্য প্রমাণ। পরের শুনানিতে এই বিষয়টি তুলে ধরে অভিযুক্তের জামিনের জোরালো আবেদন করা হবে।’’ যদিও আদালতের একটি সূত্রের খবর, অভিযোগ গ্রহণের সময়েই ওই নির্যাতিতার প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছিল। সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবার এখন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে বিধি মেনে যোগাযোগের সব রকম চেষ্টা করছে পুলিশ। এ দিকে, আইআইএম-এর কয়েক জন পড়ুয়া, নিরাপত্তাকর্মী, আধিকারিক-সহ ১৭ জনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কারও কিছু জানানোর থাকলে বা কোনও মানসিক চাপের কথা বলার থাকলে কয়েকটি হেল্পলাইন দিয়ে কথা বলার বার্তা দেওয়া হয়েছেকর্তৃপক্ষের তরফে।

আইআইএম প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানান, আপাত ভাবে বিশেষ বদল নেই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বিধিতে। কিন্তু বহিরাগত বা অ্যাপে কোনও সামগ্রী সরবরাহকারীর বিষয়েও সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গেটে এসে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ভিতরের লোক জন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, বাইরে কোথাও গেলে নিজের সচিত্র পরিচয়পত্র বহন করতে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

IIM Joka police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy