Advertisement
E-Paper

বালু-বাকিবুর যোগের ‘প্রমাণ মিলেছে’! ইডি সূত্রে দাবি, ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটির বিনিয়োগ

ইডির দাবি, সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের পরিবারের সদস্যরা। আবার ওই সব সংস্থাতেই যুক্ত ছিলেন বাকিবুরের পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৮
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বাঁ দিকে) এবং বাকিবুর রহমান।

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বাঁ দিকে) এবং বাকিবুর রহমান। —ফাইল চিত্র।

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘পারিবারিক সম্পর্ক’-এর হদিস পেল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে যে সকল তথ্য ইডির হাতে এসেছে, তা থেকেই এই যোগাযোগ স্পষ্ট হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, দুই পরিবারের সদস্যেরা একযোগে একাধিক সংস্থা চালাতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই সব সংস্থা আবার বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগও করত!

ইডির ওই সূত্রের দাবি, আপাতত এ রকম তিন সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই তিন সংস্থা হল ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’। ইডির ওই সূত্রের দাবি, এই তিন সংস্থা মারফত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১২ কোটি টাকা। ঘটনাচক্রে, প্রত্যেকটি সংস্থাতেই কোনও না কোনও ভাবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় এবং বাকিবুরের পরিবারের যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে এই কোম্পানিগুলির সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে সংস্থাগুলি তুলে দেওয়া হয়। তিনটি সংস্থার জন্য ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা পাওয়া যায়। ইডির ওই সূত্রের দাবি, সেই টাকা যায় বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের নামে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে।

ইডি সূত্রের দাবি, ওই তিন সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। পাশাপাশি, এই সংস্থাতেই যুক্ত ছিলেন বাকিবুরের পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ওই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত বাকিবুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেন হত বলেও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, এই সংস্থাগুলিতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের পরিবারের সদস্যেরা ডিরেক্টর পদে ছিলেন ২০১৬-২০১৭ সাল পর্যন্ত। তবে এখন আর তাঁরা ওই পদে নেই। উল্লেখ্য, জ্যোতিপ্রিয়ের পরিবারের সদস্যেরা যখন ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তখন তিনি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে বাকিবুরের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরেই জ্যোতিপ্রিয়ের নাম ওঠে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকেরা। প্রায় ২০ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে রাত ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। শুক্রবার দুপুরে নিজেদের হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়কে নিতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে রাজ্যের মন্ত্রীকে হাজির করানো হয়।

Jyotipriya Mallick Bengal Ration Case ED TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy