Advertisement
E-Paper

সরকারি জমি বেহাত হওয়া রুখতে এ বার সাইনবোর্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের

সরকারি জমি দেখভাল করার দায়িত্ব থাকে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের। সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতেই হবে আধিকারিকদের। তাই সমস্ত সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ শেষ করার নির্দেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১৩:২৬
The Land and Land Revenue Department has decided to put up signboards to prevent government land from being encroached

—প্রতীকী ছবি।

সম্প্রতি নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক সরকারি জমি লুট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পরেই রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিবেক কুমারকে। শুক্রবার তাঁর নেতৃত্বে বিএলআরও-সহ দফতরের প্রায় ৫০০ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সচিব জবরদখলকারীদের হাত থেকে সরকারি জমি রক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব ফাঁকি আটকানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এ বার থেকে সব সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানো হবে। উল্লেখ করে দেওয়া হবে যে, সংশ্লিষ্ট জমির মালিক রাজ্য সরকার।

নবান্ন সূত্রে খবর, সরকারি জমির দেখভাল করার মূল দায়িত্ব থাকে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের। সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতেই হবে সর্ব স্তরের আধিকারিকদের। তাই অবিলম্বে সমস্ত সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলাভিত্তিক নজরদারি করবেন জেলাশাসকেরা। ব্লকভিত্তিক এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিএলআরওকে। মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর, সমস্ত সরকারি জমির হিসাব নিজেদের হাতের কাছে রাখতে চাইছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই দফতর নিজের হাতে রেখেছেন। তিনি কোনও তথ্য পরিসংখ্যান দফতরের কাছে চাইলে দ্রুত যাতে তাঁর কাছে সেই তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করা যায়, সে জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চান দফতরের আধিকারিকেরা। প্রাথমিক ভাবে সরকারি জমি লুট রুখতে সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করতে চাইছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।

বৈঠকে জমির দীর্ঘমেয়াদি লিজ় দেওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, লিজ নেওয়ার আবেদন দীর্ঘ দিন ধরে দফতরের কাছে পড়ে থাকছে। সেই কারণে রাজ্য সরকার প্রত্যাশামাফিক রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের থেকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে লিজ় সংক্রান্ত আবেদনপত্রগুলি আর ফেলে রাখা যাবে না বলেই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দফতরের আধিকারিকদের। তবে প্রথমে বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি দখলে আনতে পদক্ষেপ করতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ভাবেই সরকারি জমি যাতে বেহাত না হয়ে যায়, সে বিষয়েও উচিত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।

Land Enchroachment Nabanna Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy