Advertisement
E-Paper

ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পঞ্চায়েত দফতর

ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ৬৫ হাজার ৪৩৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের জলস্বপ্ন, ১০০ দিনের কাজ বা এনআরইজিএ, নির্মল বাংলা, বাংলার বাড়ি-সহ বিভিন্ন গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৫৭
জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের ভাগ করে প্রশিক্ষণ শিবিরের কাজ চলছে।

জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের ভাগ করে প্রশিক্ষণ শিবিরের কাজ চলছে।

কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ফের রাজ্য জুড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শিবির চালানো হচ্ছে। দফতর সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ৬৫ হাজার ৪৩৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের জলস্বপ্ন, ১০০ দিনের কাজ বা এনআরইজিএ, নির্মল বাংলা, বাংলার বাড়ি-সহ বিভিন্ন গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হলেও, রাখা হয়েছে এই প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে। তবে এই কারণ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু পঞ্চায়েত মন্ত্রীর হাতেই রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, তাই তাঁর উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলস্বপ্ন প্রকল্পকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রশিক্ষণ শিবিরের সঙ্গে।
এখনও পর্যন্ত মোট ৮২৫টি ব্যাচে জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের ভাগ করে প্রশিক্ষণ শিবিরের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ২২৩টি ব্যাচে ১১ হাজার ৯৬৯ জনের প্রশিক্ষণ শেষ গিয়েছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই হল আমাদের লক্ষ্য। আর এই প্রশিক্ষণ শিবিরে তৃণমূল স্তরে যারা কাজ করেন, তাঁদের আরও ভালো করে প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করতে সাহায্য করবে।’’ তবে পঞ্চায়েত দফতরের আরও একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে ২৩টি জেলায় পঞ্চায়েত ভোট হবে। তার আগে নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের মারফত পঞ্চায়েত পরিষেবা প্রসঙ্গে ভালভাবে ধ্যানধারণা তৈরি করতেই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে শাসকদল নিচুতলার পরিষেবা পৌঁছে দিতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যদের বেশি করে সক্রিয় করতে পারেন। তাতে এক দিকে, যেমন রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক লাভ হবে, তেমন রাজনৈতিকভাবেও ফায়দা তুলতে পারবে বাংলার শাসক দল।

TMCP Municipality Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy