Advertisement
E-Paper

এখনও শিক্ষিকা পেল না সাগরের সেই স্কুল

একমাত্র স্থায়ী শিক্ষিকা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল সাগরের মৃত্যুঞ্জয়নগর বালিকা বিদ্যানিকেতন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাই তাঁকে ‘রিলিজ অর্ডার’ দিতে রাজি হননি স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি। জানিয়েছিলেন, আদালত অবমাননার দায়ে তিনি জেলে যেতেও রাজি। কিন্তু ওই শিক্ষিকা চলে গেলে স্কুল কার্যত বন্ধই হয়ে যাবে। 

শিবনাথ মাইতি 

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৩

একমাত্র স্থায়ী শিক্ষিকা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল সাগরের মৃত্যুঞ্জয়নগর বালিকা বিদ্যানিকেতন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাই তাঁকে ‘রিলিজ অর্ডার’ দিতে রাজি হননি স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি। জানিয়েছিলেন, আদালত অবমাননার দায়ে তিনি জেলে যেতেও রাজি। কিন্তু ওই শিক্ষিকা চলে গেলে স্কুল কার্যত বন্ধই হয়ে যাবে।

এর পরে অবশ্য আদালতের নির্দেশে বদলি হন ওই শিক্ষিকা। আর এ নিয়ে শোরগোল পড়ায় শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দেন, অবিলম্বে দু’জন স্থায়ী শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে ওই স্কুলে।

তার পর প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও কেউ আসেননি। এ দিকে ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়মমতো পরীক্ষার প্রথম দিন সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে কে ‘ডেসক্রিপটিভ রোল’-এ সই করবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা।

স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি অজিত সাহু শুক্রবার বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হতেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে গিয়েছিলাম। কিন্তু কবে শিক্ষিকা মিলবে সে বিষয়ে সদুত্তর পাইনি।”

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ বিষয়টি জানার পরেই আমি শিক্ষিকা নিয়োগের বিষয়ে যা যা করার করে দিয়েছি। তার পরে এত দিন কেটে গেলেও নিয়োগ কেন হয়নি, সে ব্যাপারে খোঁজ নেব।’’ আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্কুল পরিদর্শক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাগজপত্র বিকাশ ভবনে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে।’’

শুধু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা নয়, ‘কন্যাশ্রী’ বা ‘সবুজসাথী’র মতো প্রকল্পের সুবিধা ছাত্রীদের দিতে গেলেও এক জন স্থায়ী শিক্ষিকা দরকার। কিন্তু এখন স্কুলের ৮১ জন ছাত্রীর দেখভাল করছেন জনাকয়েক অস্থায়ী শিক্ষিকা। ফলে ঘোর দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা। তাঁদেরই এক জন দুর্গা কোটাল বলেন, “মেয়েকে কষ্ট করে পড়াচ্ছি। কিন্তু পরিস্থিতি যে এ রকম হবে, ভাবিনি।”

Sagar Island Teacher Transfer School Education Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy