—প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিকের মামলায় অভিযুক্তদের চার্জশিটের কপি সরবরাহ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন আলিপুর আদালতের সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক।
মঙ্গলবার প্রাথমিকের মামলায় তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ, পার্থ সেন ও কৌশিক মাজিকে আদালতে তোলা হলে কৌশিকের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রাথমিকের মামলায় সিবিআই দু’টি চার্জশিট পেশ করলেও একটাও অভিযুক্তদের সরবরাহ করেনি।’’ এই অভিযোগ শুনেই বিচারক চার্জশিটের কপি সরবরাহ করতে বলেন। অভিযুক্তদের আইনজীবীদের বলেন, ‘‘চার্জশিটের কপি হাতে পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য আদালতকে জানাতে হবে।’’
কুন্তলের আইনজীবী জামিনের আবেদনে বলেন, ‘‘কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নন। ইডির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়।’’ তাপসের আইনজীবীর দাবি, ‘‘৩০৫ দিন তাপস জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে এখনও পর্যন্ত সিবিআই যে ৫০টি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে, তার সব ক’টির বয়ান এক।’’ পার্থর আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘পার্থ এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির একজন প্রোগ্রামার। তিনি কর্মচারী। সংস্থার ডিরেক্টররা যা নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করেছেন। দুর্নীতিতে তাঁর কোনও যোগ নেই।’’
সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে এস বসু রায় অ্যান্ড সংস্থার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। ওখানেই ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে নিয়োগে দুর্নীতি করা হয়েছিল। এই মামলায় ছয় অভিযুক্ত কোনও না কোনও ভাবে একে অপরের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত। জামিন মঞ্জুর হলে তদন্ত ব্যাহত হবে।’’
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি পার্থ ও কৌশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এস বসু রায় সংস্থার মাধ্যমে যে ৭৫২ জন অকৃতকার্যদের অতিরিক্ত প্যানেল তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ২৫৬ জনের প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি হয়েছে। কুন্তলের সঙ্গে ওই সংস্থার আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়াগিয়েছে। এ দিন অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক। ৩০ জানুয়ারিপরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy