দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা আগেই হয়েছে। নিউটাউনে দুর্গা অঙ্গন তৈরির জন্য জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার । উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে নতুন মহাকাল মন্দির তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ববর্তী ঘোষণা মতোই মাটিগাড়ায় মহাকাল মন্দির তৈরি করার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে জমি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে ধর্মীয় পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জমিটি দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়া থানা এলাকার উজানো মৌজা (জেএল নম্বর ৮৬) এবং গৌড়চরণ মৌজায় (জেএল নম্বর ৮১) অবস্থিত। পর্যটন দফতরের হাতেই ওই জমি থাকায় সেখানে শুধু মন্দিরই নয়, পাশাপাশি একটি আধুনিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। সরকারের আশা, এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। চন্দ্রিমা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে মহাকাল মন্দির নির্মাণের। সেই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, “২৫.১৫ একর জমি, যা আগে লক্ষ্মী টাউনশিপ অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের লিজ হোল্ডে ছিল, সেটি এসজেডিএ-র কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে ১৭.৪১ একর ফাঁকা ও অপ্রয়োগকৃত জমি পর্যটন দফতরের হাতে যাবে ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল ট্রান্সফারের মাধ্যমে।”
সোমবারের বৈঠকে উত্তরবঙ্গে পর্যটন ও আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান ব্যবস্থার পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—ডাবগ্রামে নতুন কনভেনশন সেন্টার। রাজ্যে দু’টি বড় কনভেনশন সেন্টার রয়েছে—নিউ টাউনে ‘বিসিসিআই’ এবং দিঘায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার।
নতুন কেন্দ্রটি হবে দার্জিলিং জেলার ডাবগ্রাম মৌজায়, এশিয়ান হাইওয়ে-২–এর পাশে তিস্তা টাউনশিপ অঞ্চলে। ১০ একর জমির ওপর আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এই কনভেনশন সেন্টার নির্মিত হবে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মানের একটি বড় কনভেনশন সেন্টারের দাবি ছিল। অবশেষে সরকার সেই উদ্যোগে এগিয়ে গেল।”