ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চত্বরে শনিবার সারা রাত ঘাপটি মেরে ছিলেন ধৃত আগন্তুক। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অন্তত সাত ঘণ্টা ছিলেন তিনি। ঢুকেছিলেন শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ। তার পর ধরা পড়েন রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরাই সকালে তাঁকে দেখতে পেয়ে কালীঘাট থানার হাতে তুলে দেন। সোমবার আলিপুর আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল। এরই পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সোমবার।
সোমবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়িতে ঢুকে পড়া আগন্তুক হাফিজুল মোল্লাকে। কলকাতা পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে হাফিজুলকে সাত দিন অর্থাৎ ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সৌরীন বলেন, ‘‘শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি চত্বরে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। কী উদ্দেশ্য নিয়ে ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এর পিছনে কোনও বড় অপরাধের ছক ছিল কি না এবং কোনও বড় মাথা আছে কি না, তা-ও দেখা হবে। ওই ব্যক্তি নিজে এসেছিলেন না কি কেউ তাঁকে পাঠিয়েছিল, তা দেখা জরুরি। পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে কী করলেন আগন্তুক!’’
কাগজে-কলমে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে সারা রাত পুলিশের সজাগ থাকার কথা। তার পরেও কী ভাবে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের নজর এড়িয়ে হাফিজুল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। এত দিন সাদা পোশাকের পুলিশ-সহ ৭০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকত মমতার বাড়িতে। এ বার থেকে আরও ১৮ জন কনস্টেবলকে মোতায়েন করা হবে ওই বাসভবন চত্বরে। বসানো হবে তিনটে পুলিশ পিকেটও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy