দীর্ঘ শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্ট জানাল, মদন মিত্রের জামিন বহাল থাকছে না। তাঁকে ফিরতে হবে জেলেই। শুনানিতে দু’পক্ষের বাদানুবাদ চরমে পৌঁছয়। যুক্তি, পাল্টা যুক্তিতে সরগরম হয়ে ওঠে এজলাস। দুই বিচারপতি দু’তরফের কৌঁসুলিদেরই তীক্ষ্ণ প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছেন বার বার। কখনও উঠে এসেছে প্রভাবশালী তত্ত্ব, কখনও ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিনের প্রসঙ্গ। আইনজীবীরা কখনও জবাব দিয়েছেন, কখনও সদুত্তর হাতড়েছেন। হাইকোর্টের এজলাসে সেই টানটান লড়াই দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে:
প্রভাবশালী তত্ত্ব
মন্ত্রী মদন মিত্র কি এতটাই প্রভাবশালী যে মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁর পদত্যাগ পত্র গৃহীতই হচ্ছে না! (সঙ্গী বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য উল্লেখ করে )
মদন মিত্র কি ঈশ্বরের থেকেও পবিত্র (হোলিয়ার দ্যান দাউ)!
নিম্ন আদালতের রায়
কেন এক দিনের জন্য মামলার শুনানি মুলতুবি করল না আলিপুর আদালত?
কেস ডায়েরি নেই জেনেও একতরফা শুনানি কেন হল?
হাইকোর্ট আগেই মদন মিত্রের জামিন নাকচ করার পরে পরিস্থিতি কী এমন বদলাল যে নিম্ন আদালত মদন মিত্রকে জামিন দিয়ে দিল?
জামিন নাকচের পরে দু’বার জেলে গিয়ে সিবিআই মদন মিত্রকে জেরা করেছে। সেই জেরায় কী উঠে এল, নিম্ন আদালতের তা দেখা উচিত ছিল।
সন্ধির অগ্রবাল ও সদাননন্দ গগৈ মদন মিত্রের আগে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের টপকে মদন মিত্রের জামিনের শুনানি হল কী করে?
নিম্ন আদালতের রায় যেমন খুশি ভাবে দেওয়া হলে হাইকোর্ট তা খারিজ করতেই পারে।
সারদা-যোগ
সারদা গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়া ছাড়া মদন মিত্রের সঙ্গে ওই সংস্থার আর কোনও যোগ ছিল না বলে যা দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। তিনি সারদা গোষ্ঠীর কর্মী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। সারদা গোষ্ঠীর অফিসেও তাঁর যাতায়াত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মদন মিত্রের হলফনামা
এতে কোনও নতুন তথ্য নেই।
সিবিআই-য়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন
আপনি তো নিম্ন আদালতে শুনানির সময় হাজিরই ছিলেন না। নিম্ন আদালত আগে থেকেই রায় ঠিক করে রেখেছিল তা বুঝলেন কী করে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy