বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া পুরনোদের নিজের নিজের আসনে রেখেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল।
আজ, মঙ্গলবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক। তার পরেই তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন। সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, মঙ্গলে ঊষা বুধে পা যথা ইচ্ছা তথা যা।’’
কিছুদিন আগেই নজরুল মঞ্চের দলীয় বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, কয়েকটি আসনে সমস্যা রয়েছে। কথা বলে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে। কয়েকটি কেন্দ্রে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী যে অনিবার্য, তা স্পষ্ট। যেমন মাসখানেক আগে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেই আসনে নতুন প্রার্থী আসবেন। ওই সংরক্ষিত আসনে জেলারই এক বিধায়কের নাম জল্পনার প্রথম সারিতে। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরার বদলে নাম শোনা যাচ্ছে বীরভূমেরই প্রাক্তন এক কংগ্রেস বিধায়ককে। বহরমপুরে কংগ্রেসের হেভিওয়েট সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূল তাঁরই একসময়ের অনুগামী বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে প্রার্থী করতে পারে। মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক আবু তাহের। রায়গঞ্জে প্রার্থী হতে পারেন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগরওয়াল।
কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পালের শারীরিক অবস্থা খুব ভাল নয়। তাঁর আবার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে তাই কিছুটা সংশয় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই আসনে কোনও মহিলা বিধায়ককে প্রার্থী করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া আসনে এখন সাংসদ দুই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁদের আবার টিকিট পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন থাকলেও তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত তাঁদের নিয়ে নতুন কোনও ভাবনা নেই। এর মধ্যে মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায় সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। একইভাবে মমতা কথা বলেন ঝাড়গ্রামের উমা সরেন, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, ব্যারাকপুরের দীনেশ ত্রিবেদী প্রমুখের সঙ্গেও। সাধারণভাবে দলের মহিলা সাংসদদের কাজে নেত্রী সন্তুষ্ট। তাই গতবারের মতো এবারেও প্রার্থী তালিকায় অন্তত ৩৫ শতাংশ মহিলা প্রার্থী রাখতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকেই রাজ্যে নামছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণ দুটি আসনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীকেই ফের মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। ডায়মন্ডহারবারেও দল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করবে বলে জানা গিয়েছে। আসানসোলে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন দোলা সেন। এখন তিনি রাজ্যসভায়। তাই ওই কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন, সোমবার দিনভর সেই জল্পনাও ঘুরেছে। একই সঙ্গে ঘুরেছে আরেকটি প্রশ্ন, যাদবপুর কেন্দ্রে এবারও সুগত বসুই প্রার্থী হবেন কি?
প্রার্থীতালিকা প্রকাশের আগেই মমতা এদিন দাবি করেছেন, ‘‘রাজ্যে ১৯ মে শেষ দফার ভোট। আর ওইদিনই বিজেপি সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বাজবে। ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy