—নিজস্ব চিত্র।
রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের পার্থক্য প্রথম দিনেই তিনি বুঝতে পেরেছেন। বুধবার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর এমনটাই দাবি করলেন জহর সরকার। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ছিলাম। টেবিলের এ পার আর ও পারের মধ্যে যে অনেক ফারাক, আজ সেটা বুঝতে পারছি। এখানে থাকতে হলে অনেক পরিশ্রম, বুদ্ধি, ধৈর্য ও দক্ষতা লাগে। টেবিলের এ পারে এত কিছুর প্রয়োজন হয় আজ জানলাম।’’ তিনি যখন এ কথা বলছেন বিধানসভায় তখন তাঁর পাশে ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ ও উপমুখ্যসচেতক তাপস রায়। তাঁদের প্রত্যেকে মনোনয়ন দাখিলে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদও জানান জহর।
তিনি কেন রাজনীতিতে এসেছেন বা রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে তিনি কী কাজ করবেন, সে সব প্রশ্নের জবাবে জহর বলেন, ‘‘দেশে যা চলছে তা দেখে চুপ করে থাকা যায় না। ধর্মীয় নিরপেক্ষতার উপর আঘাত এসেছে। রাজনীতি কখনও করিনি। কিন্তু এই সময়ে দেশে যে পরিমাণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, সে কথা মনে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমি বার বার সরব হয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নোটবন্দি ও জিএসটি-র বিরোধিতা করেছি। সংবাদপত্রে লিখেছি। নিজের মতামত স্পষ্ট জানিয়েছি। যে সব এত দিন লিখেছি, তা একটি মঞ্চে বলার সুযোগ পাব এ বার।’’
জাতীয় রাজধানীতে বাংলার কথা সে ভাবে আলোচিত হয় না বলে দাবি করেছেন জহর। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৬ বছর দিল্লিতে কাজ করেছি। এ রাজ্যের কথা যে ভাবে দিল্লিতে বলা দরকার, তেমন গভীরে গিয়ে আলোচনা হয় না। অনেকেই ছিলেন। অনেকেই আছেন। তাই এ ব্যাপারে কাজ করতে পারলে ভাল লাগবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy