ছবি: সংগৃহীত
দলের কিছু নেতা ও বিধায়ক তলে তলে যে বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সেই ‘খবর’ রয়েছে তাঁর কাছে। বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে কারা অশান্তি ছড়াতে মদত দিচ্ছেন সে বিষয়েও তিনি অবগত। কিন্তু এঁদের যে তিনি রেয়াত করবেন না তা শুক্রবার বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাঙড়, আউশগ্রাম, হাওড়া বা বোলপুরে অশান্তি ও উত্তেজনা ছড়ানোর বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের কিছু নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আউশগ্রামে থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তৃণমূলেরই স্থানীয় কাউন্সিলর চঞ্চল গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এ দিন পরিষদীয় দলের বৈঠকে নাম করে না করে এ ধরনের ঘটনায় বিজেপি ও উগ্র বামপন্থীদের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বলেন, বাংলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লাগাতে বিজেপি ও তাদের অনুগামী কিছু সংগঠন দিন রাত ষড়যন্ত্র করছে। গুজব ছড়াচ্ছে। এ প্রসঙ্গেই তিনি দলের কিছু বিধায়ক-নেতাকে সতর্ক করেন। বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে রেয়াত করা হবে না।
দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, বৈঠকে মমতা বিধায়কদের পরামর্শ দেন, এলাকায় সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কোথাও অশান্তি ছড়ানো বা গুজব ছড়িয়ে গোল পাকানোর চেষ্টা হলে দ্রুত তার মোকাবিলায় সচেষ্ট হোন।
তা ছাড়া বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল বিধায়করা যাতে সভায় হাজির থাকেন, সে বিষয়ে কঠোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে নজর রাখতে তিনি সরকার
পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে নির্দেশ দেন। তৃণমূলের বিধায়করা কখন বিধানসভায় ঢুকছেন, কখন বিধানসভা ছেড়ে বেরোচ্ছেন তা লিপিবদ্ধ রাখতে একটি খাতা খোলারও ভাবনাও যে তাঁর আছে তা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এ-ও পরামর্শ, বাহাদুরি দেখানোর জন্য কোনও বিধায়ক যেন নেতিবাচক প্রশ্ন করে সরকারকে অস্বস্তি ফেলার চেষ্টা না করেন। বরং এমন প্রশ্নই যেন করেন, যাতে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy