বিধান ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট হবে তো! এমনটাই আশঙ্কা করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এ চেল্লাকুমারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই সদ্য শেষ হওয়া পুরভোট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, ‘‘রাজ্যে দু’টি ভোট হবে আর দু’টি ভোট হবে না। লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হবে। পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট হবে না। দিদি এটাই চান। লোকসভা ও বিধানসভা ভোট কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন করায়। তাই ওই দু’টি ভোট হবে। কিন্তু পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে লুঠ হবে। দিদিই ঠিক করে নিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দিদি যদি পারতেন বাংলায় লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও লুঠ হত। যেভাবে পুরভোট হয়েছে, তা দেখে একটাই কথা বলতে পারি, পঞ্চায়েত ভোট হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।’’অধীর আরও বলেন, ‘‘দু’হাজারের বেশি কিছু ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল। তার অর্ধেকে আমরা প্রার্থী দিতে পেরেছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাদের কর্মীরা যে ভাবে লড়াই করেছেন, তাতে তাঁদের লড়াইকে আমরা কুর্ণিশ জানাই।’’
ভোট ছাড়াও রাজ্য সরকারকে ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে আনিসকে বাড়ি গিয়ে হত্যা করা হল তার নিন্দার ভাষা নেই। এখন তাঁর বাবাকে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু সালেম খান কোনও চাপের কাছেই মাথা নত করবেন না। আমরা তাঁর সঙ্গে আছি।’’ সঙ্গে অধীর ঘোষণা করে দেন, আগামী দিনে আনিসের বাবাকে নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হবে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক চেল্লাকুমার বলেন, ‘‘মমতাদিদি কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই বাংলার মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন দেখছি, তাঁর জমানাতেই বাংলায় গণতন্ত্র নেই। তাই বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতে কংগ্রেস কর্মীদের লড়াই চলতে থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy