রাজ্যে শেষ বার স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৬-তে। সেই এসএসসি-ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত। কবে নতুন এসএসসি হবে, জবাব নেই। এই অবস্থায় অনেকেই পাশের রাজ্য বিহারে গিয়ে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিচ্ছেন। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, রাজ্য থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী বিহারে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন।
সোমা দাস একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতার জন্য ২০১৬-তে পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি-র পরীক্ষা দেন। ‘ওয়েটিং লিস্ট’ বা অপেক্ষমান তালিকায় তিনি আছেন ৫৫ নম্বরে। সোমার কথায়, “আমরা যোগ্য। নিয়োগের দাবিতে হাজার দিনের বেশি রাস্তায় বসে রয়েছি। জানি না আরও কত দিন এ ভাবে বসে থাকতে হবে! ১৮ জুন পটনার একটি স্কুলে আমার পরীক্ষা। আমার মতো বাংলার অনেকেই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন।”
সোমা জানান, বিহারের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রথমে স্টেট টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (স্টেট) দিতে হয়। পাশ করলে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষায় বসার সুযোগ মেলে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই প্যানেলে নাম ওঠে। গত ১১-২৯ মে নবম থেকে দশম শ্রেণির স্টেট-এ এই রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা ভোট না-দিয়ে কিংবা রেমালের ধাক্কার ঝুঁকি নিয়ে বিহারে গিয়েছিলেন।
এ বার ১২-১৮ জুন একাদশ ও দ্বাদশের জন্য স্টেট হচ্ছে। সোমা জানান, তাঁর বিষয় সংস্কৃত। নবম, দশমের জন্য স্টেট দিয়েছেন। এ বার একাদশ, দ্বাদশের স্টেটও দিচ্ছেন। সুযোগ পেলে বিহারেই শিক্ষকতা করবেন। হাওড়ার দেবমাল্য মণ্ডলের এ দিনই বিহারে পরীক্ষা ছিল। তাঁর বিষয় বাংলা। দেবমাল্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার জন্য সেই ২০১৬-র পর থেকেই অপেক্ষা করছিলাম। বাংলার হাজার হাজার পরীক্ষার্থী এখন বিহারে রয়েছি।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা আলতাফুর মিয়া বিহারের বাঁকা জেলায় কোটোরিয়া হাই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তিনি বলেন, “গত বছর পরীক্ষা দিয়ে আমার নিয়োগ হয়েছে। বিহারে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ নেই। রাজ্যে নিয়মিত এসএসসি হলে আমাকে বিহারে শিক্ষকতা করতে যেতে হত না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)