প্রতীকী ছবি
চুরি ঠেকাতে রেশন দোকানে ‘ই-পজ়’ মেশিন বসিয়েছে খাদ্য দফতর। বৈদ্যুতিন নজরদারি চালু করার মাস দুয়েকের মধ্যেই চুরির চেষ্টা ধরাও পড়ল। খাদ্য ভবনের খবর, এক মাসে প্রায় চার লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ডের নম্বর খাদ্য দফতরের কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড করে রেশনসামগ্রী চুরির চেষ্টা করেছেন কয়েক হাজার অসাধু ডিলার। তাঁদের ‘শো-কজ়’ করা হচ্ছে। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না-পারলে তাঁদের সাসপেন্ড করা হতে পারে।
কোন গ্রাহক কত সামগ্রী নিচ্ছেন, সেই তথ্য ডিলারেরা ওই যন্ত্রের মাধ্যমে দফতরের কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠিয়ে দেন। ওই সার্ভারে রাজ্যের সব রেশন গ্রাহকের নাম, কার্ড নম্বর, ডিলারের তথ্য এবং তাঁদের বরাদ্দ সংরক্ষিত রয়েছে। রেশনসামগ্রী এবং দামের উল্লেখ করা কাগজ ই-পজ় যন্ত্র থেকে সংগ্রহ করেন গ্রাহকেরা। কে কত সামগ্রী কিনছেন, সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পরের মাসের বরাদ্দ নির্দিষ্ট করে দফতর। আগে নজরদারির এই ব্যবস্থা না-থাকায় অসাধু ডিলারেরা বাইরে রেশনসামগ্রী বিক্রি করতেন। নতুন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৭৫% চুরি বন্ধ হয়েছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রের দাবি।
ওই দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রায় চার লক্ষ অস্তিত্বহীন রেশন কার্ডের নম্বর সার্ভারে পাঠানো হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, ভুয়ো নম্বর পাঠিয়ে রেশনসামগ্রী চুরির চেষ্টা হয়েছিল।’’ রাজ্যে সব গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে সার্ভারে আপলোড করা হচ্ছে। এক জনের রেশন অন্য কেউ যাতে তুলতে না-পারে, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই ছ’কোটি গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। বাকি কাজ মাস তিনেকের মধ্যে শেষ হবে বলে আধিকারিকদের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy